জড়িত ৩ জন ছিনতাইকারী

নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের’ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমনান মিজান (২৫) নামে এক শিক্ষার্থী। গতকাল পর্যন্ত এ হত্যাকা-ের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষার্থী মিজানকে হাতিরঝিল এলাকা থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। গ্রেফতার হওয়া ৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এ হত্যাকা-ে ৩ ছিনতাইকারীর সংশ্লিষ্ট মিললেও নেপথ্যে আর কারও যোগসূত্র আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। গতকাল গ্রেফতার হওয়া ৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থী মিজানকে তিন ছিনতাইকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় হত্যা করে হাতিরঝিলে ফ্লাইওভারে রেখে যায়। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা পুলিশ সে বিষয়ে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে হাতিরঝিলসংলগ্ন কারওয়ান বাজার রেলক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার থেকে মিজানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সবিলপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আমির হোসেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহত মিজান লেখাপড়ার পাশাপাশি বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ ফোর স্টার হোটেলে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে চাকরি করতেন। ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি পালন করে তার শেওড়ার বাসায় রওয়ানা হন। এসময় হোটেলে আরও দু’জন কর্মচারী তার সঙ্গে ছিল। তবে তিনজন তিনদিকে বাসা হওয়ায় আলাদা হয়ে যান। এরপর মিজান একটি সিএনজিতে করে বাসায় আসছিল। সিএনজিতে সে ওঠার পর পথে দুই ছিনতাইকারী সিএনজিতে ওঠে, তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হচ্ছিল। সিএনজিটি হাতিরঝিল এলাকায় ঢুকে ফ্লাইওভারে ওঠে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। সে নিস্তেজ হয়ে পরলে তাকে ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে চলে যায়।’

ছিনতাইকারীরা তার এন্ড্রয়েড নোকিয়া মোবাইল ফোন, ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ পথচারীদের কাছে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং বরাবর জায়গা থেকে মিজানের লাশ উদ্ধার করে। ভোররাতে নিহত মিজানের ভাইয়েরা খবর পেয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে। ৬ জানুয়ারি সকালে মিজানের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা

জড়িত ৩ জন ছিনতাইকারী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের’ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমনান মিজান (২৫) নামে এক শিক্ষার্থী। গতকাল পর্যন্ত এ হত্যাকা-ের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষার্থী মিজানকে হাতিরঝিল এলাকা থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। গ্রেফতার হওয়া ৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এ হত্যাকা-ে ৩ ছিনতাইকারীর সংশ্লিষ্ট মিললেও নেপথ্যে আর কারও যোগসূত্র আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। গতকাল গ্রেফতার হওয়া ৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থী মিজানকে তিন ছিনতাইকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় হত্যা করে হাতিরঝিলে ফ্লাইওভারে রেখে যায়। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা পুলিশ সে বিষয়ে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে হাতিরঝিলসংলগ্ন কারওয়ান বাজার রেলক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার থেকে মিজানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সবিলপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আমির হোসেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহত মিজান লেখাপড়ার পাশাপাশি বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ ফোর স্টার হোটেলে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে চাকরি করতেন। ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি পালন করে তার শেওড়ার বাসায় রওয়ানা হন। এসময় হোটেলে আরও দু’জন কর্মচারী তার সঙ্গে ছিল। তবে তিনজন তিনদিকে বাসা হওয়ায় আলাদা হয়ে যান। এরপর মিজান একটি সিএনজিতে করে বাসায় আসছিল। সিএনজিতে সে ওঠার পর পথে দুই ছিনতাইকারী সিএনজিতে ওঠে, তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হচ্ছিল। সিএনজিটি হাতিরঝিল এলাকায় ঢুকে ফ্লাইওভারে ওঠে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। সে নিস্তেজ হয়ে পরলে তাকে ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে চলে যায়।’

ছিনতাইকারীরা তার এন্ড্রয়েড নোকিয়া মোবাইল ফোন, ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ পথচারীদের কাছে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং বরাবর জায়গা থেকে মিজানের লাশ উদ্ধার করে। ভোররাতে নিহত মিজানের ভাইয়েরা খবর পেয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে। ৬ জানুয়ারি সকালে মিজানের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।