টাঙ্গাইলে ৩ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ দু’জনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৯ম শ্রেণীর তিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পৃথকভাবে তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জবানবন্দি দেয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে ইউসুফ আলী খান এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে বাবুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া অপর আসামি সবুজ ওরফে সুজন বাবুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

অপরদিকে সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই ৩ স্কুলছাত্রী এবং তাদের অপর বান্ধবী সাক্ষী হিসেবে আদালতে ২২ ধারায় জবানবিন্দ দেয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব এবং ফারজানা হাসানাত তাদের জবানবন্দি লিপিবব্ধ করেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহাম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীদের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য উপজেলার সন্ধ্যানপুর ইউনিয়নের সাতকুয়াবাঈদ বন এলাকায় গত রোববার রাতে ৩ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং তাদের অপর এক বান্ধবী লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে এক স্কুলছাত্রীর বাবা ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

টাঙ্গাইলে ৩ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ দু’জনের স্বীকারোক্তি

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৯ম শ্রেণীর তিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পৃথকভাবে তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জবানবন্দি দেয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে ইউসুফ আলী খান এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে বাবুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া অপর আসামি সবুজ ওরফে সুজন বাবুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

অপরদিকে সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই ৩ স্কুলছাত্রী এবং তাদের অপর বান্ধবী সাক্ষী হিসেবে আদালতে ২২ ধারায় জবানবিন্দ দেয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব এবং ফারজানা হাসানাত তাদের জবানবন্দি লিপিবব্ধ করেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহাম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীদের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য উপজেলার সন্ধ্যানপুর ইউনিয়নের সাতকুয়াবাঈদ বন এলাকায় গত রোববার রাতে ৩ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং তাদের অপর এক বান্ধবী লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে এক স্কুলছাত্রীর বাবা ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।