বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক করা গর্হিত কাজ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল সকাল আটটায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানের পর সাংবাদিকদের তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এইমাত্র আমি আমার ভোট দিয়েছি। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়েছি এবং কাউন্সিলর পদে রফিকুল ইসলাম বাবলা ও শিরিন গাফফারকে ভোট দিয়েছি। আমি আশা করি, নগরীর আরও উন্নয়নে এবং চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য নগরবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দুই মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং আতিকুল ইসলাম ভোটে বিজয়ী হবেন। ঢাকাবাসীদের জন্য আমরা উন্নত এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলব।

মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

ঢাকার কয়েকটি বিদেশি মিশন সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার তীব্র সমালোচনা করে একে গর্হিত কাজ হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকারও সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাংলাদেশি নাগরিক এখানকার বিদেশি দূতাবাস এবং হাইকমিশনগুলোতে কাজ করছেন। এই মিশনগুলো তাদের (বাংলাদেশি) ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগে মাধ্যমে একটি গর্হিত কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিরা কিভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষক হয়? তারা তাদের মিশনে কাজ করছেন। মিশন তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাতে পারে না এবং তারা সঠিক কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ওই সব মিশনে অনেক বৈরী মানুষ কাজ করছেন। আমি তাদের চিনি। এদের কারও বাবা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আবার এদের মধ্যে অনেকের বাবা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে বলেন, আমি অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং খুব সহজেই আমার ভোট দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সারাদেশে ভোটগ্রহণের আয়োজন করতে পারবে এতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে এবং কেউ তাদের ভোটাধিকার খর্ব করতে পারবে না। প্রত্যেক ভোটার নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে বারবার সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’ এর ফলে দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১৯ মাঘ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক করা গর্হিত কাজ প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল সকাল আটটায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানের পর সাংবাদিকদের তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এইমাত্র আমি আমার ভোট দিয়েছি। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়েছি এবং কাউন্সিলর পদে রফিকুল ইসলাম বাবলা ও শিরিন গাফফারকে ভোট দিয়েছি। আমি আশা করি, নগরীর আরও উন্নয়নে এবং চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য নগরবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দুই মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং আতিকুল ইসলাম ভোটে বিজয়ী হবেন। ঢাকাবাসীদের জন্য আমরা উন্নত এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলব।

মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

ঢাকার কয়েকটি বিদেশি মিশন সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার তীব্র সমালোচনা করে একে গর্হিত কাজ হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকারও সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাংলাদেশি নাগরিক এখানকার বিদেশি দূতাবাস এবং হাইকমিশনগুলোতে কাজ করছেন। এই মিশনগুলো তাদের (বাংলাদেশি) ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগে মাধ্যমে একটি গর্হিত কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিরা কিভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষক হয়? তারা তাদের মিশনে কাজ করছেন। মিশন তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাতে পারে না এবং তারা সঠিক কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ওই সব মিশনে অনেক বৈরী মানুষ কাজ করছেন। আমি তাদের চিনি। এদের কারও বাবা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আবার এদের মধ্যে অনেকের বাবা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে বলেন, আমি অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং খুব সহজেই আমার ভোট দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সারাদেশে ভোটগ্রহণের আয়োজন করতে পারবে এতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে এবং কেউ তাদের ভোটাধিকার খর্ব করতে পারবে না। প্রত্যেক ভোটার নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে বারবার সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’ এর ফলে দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।