বিড়ম্বনার শিকার অনেকে

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট প্রদানে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন অনেকে। ভোট দিতে গিয়ে একই রকম বিড়ম্বনায় পড়েন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাও। তবে সার্বিকভাবে ইভিএমে সহজে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। বলছেন, ইভিএমে ভোট দেয়া অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুষ্ঠিত হয়। দুই সিটিতে সম্পূর্ণ ইভিএমে গ্রহণ করা হয়। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩, দক্ষিণ সিটিতে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪। ঢাকা উত্তরে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের ৭ হাজার ৮৪৬টি ভোট কক্ষে এবং দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। ঢাকা দুই সিটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ইভিএমে ভোটপ্রদানের জন্য প্রথমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের নাম শনাক্ত করা হয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ছবিসহ ভোটারের নাম এলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত বোতামে চাপ দিয়ে চূড়ান্ত করেন। এরপর গোপন কক্ষে ইভিএম মেশিন থাকে। এতে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকে। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে বোতামের চাপ দিতে হয়। এরপর স্ক্রিনে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেখা যায়। ইভিএম মেশিন থেকে কোথায় ভোট দিলেন সেটাও দেখাচ্ছে। এরপর সবুজ বোতাম (নিশ্চিত ভোট) চাপ দিলেই ভোট সম্পন্ন হয়ে যায়। এইভাবে প্রার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ভোট দেন।

খিলগাঁও মডেল কলেজের সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দিতে আসেন হালিমা বেগম। বয়স ষাটোর্ধ। কেন্দ্রের ৬ নম্বর কক্ষে ভোট দিতে এসে মিলছিল না আঙ্গুলের ছাপ। বার বার চেষ্টা করার পর মিলে আঙুলের ছাপ। এরপর গোপন কক্ষে ভোট দিতে গিয়ে পড়েন আরও সমস্যায়। ইভিএম সম্পর্কে কোন ধারণা থাকায় ভোট প্রদান না করেই বেরিয়ে আসেন। পরে প্রিজাইডিং অফিসার আবারও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর ভোট দিতে সক্ষম হোন।

ভোট দিতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগলেও খুশি হালিমা বেগম। তিনি সংবাদকে বলেন, ৮/৯ বার চেষ্টার পর আঙুলের ছাপ মিলল। পরে ভোট দিতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ি। কোনকিছুই বুঝছিলাম না। আগে কখনও এমন ভোট দেইনি। পরে বাইরে আসার পর সবাই বুঝিয়ে দিলে ভোট দিতে পারছি।

সকাল আটটা থেকে আড়াই ঘণ্টায় এই বুথে ৩৭৭ জনের মধ্যে ২৪ জন ভোট দেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হালিম। তিনি জানান, তার কেন্দ্রে অনেকেরই একাধিকবার চেষ্টার পর মিলেছে। পোলিং অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাপ মিলাতে একটু সমস্যা হয়েছে। এর বাইরে তেমন কোন জটিলতা নেই।

খিলগাঁও মডেল কলেজের কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথেও একই রকম চিত্র দেখা গেছে। ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মেলায় সময় লাগার বিষয়টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শওকত আলীও স্বীকার করেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।

মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিএসসিসি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০, ৬১, ৬২ তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এখানেও ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মেলায় বেশ ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। প্রিজাইডিং অফিসার এএসএম মাসুদ সংবাদকে বলেন, কয়েকবার চেষ্টা করার পরও না মিললে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মাতুয়াইল উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৃথক কেন্দ্রের বুথগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রত্যেক বুথেই আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি অনেকে। তবে ইভিএমে ভোট দেয়ার পর অনেক ভোটারই বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়া আসলে সোজা।

মাতুয়াইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে হোসনা বেগম বলেন, ইভিএম নিয়ে কিছু জানতাম না। ভোটকেন্দ্রে আসার পরে অফিসাররা বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। দায়িত্বরত পোলিং অফিসার জাহানারা বেগম বলেন, সার্বিকভাবে সমস্যা নগন্য।

আরেক পোলিং অফিসার কামরুন নাহার বলেন, যারা ইভিএম নিয়ে কিছুই জানেন না তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মাতুয়াইল উচ্চবিদ্যালয়ের ১০৪৬ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক সংবাদকে বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার আগে আঙ্গুলের ছাপ মেলাতে হয়। আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এরকম এক শতাংশ ভোটারের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মাতুয়াইল হাজী লতিফ ভূইয়া কলেজের দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তিনি তিনজনকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে প্রথম ইভিএম ভোট দিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টি দেখা গেছে। রাজধানীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজ বিদ্যাপিঠ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আবদুর রহমান নামের এক ভোটার বলেন, প্রথমে ভাবছিলাম এই মেশিনে ভোট দিয়ে ঝামেলা হবে। কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি অনেক সহজ হয়েছে। খুব কম সময়ে ভোট দেয়া হয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এন আইডির নম্বর দিয়ে ভোটার নম্বর সংগ্রহ করি। এরপর নির্দিষ্ট বুথ দিয়ে ইভিএম মেশিনে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর মনিটরে ছবি ভেসে ওঠে। এরপর আঙ্গুলে কালি দেয়ার পর গোপন রুমে দিয়ে ভোট দিয়েছি। তিনি আরও জানান, মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ তিনটি ভোট দেয়ার পর ইভিএম মেশিন ভোট কনফার্ম করেছে। ১-২ মিনিটরে মধ্যে ভোট দেয়া শেষ হয়েছে। কামীম মিয়া নামের এক ভোটার বলেন, ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোটপ্রদান সহজ।

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১৯ মাঘ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিড়ম্বনার শিকার অনেকে

মোস্তাফিজুর রহমান

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট প্রদানে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন অনেকে। ভোট দিতে গিয়ে একই রকম বিড়ম্বনায় পড়েন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাও। তবে সার্বিকভাবে ইভিএমে সহজে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। বলছেন, ইভিএমে ভোট দেয়া অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুষ্ঠিত হয়। দুই সিটিতে সম্পূর্ণ ইভিএমে গ্রহণ করা হয়। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩, দক্ষিণ সিটিতে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪। ঢাকা উত্তরে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের ৭ হাজার ৮৪৬টি ভোট কক্ষে এবং দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। ঢাকা দুই সিটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ইভিএমে ভোটপ্রদানের জন্য প্রথমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের নাম শনাক্ত করা হয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ছবিসহ ভোটারের নাম এলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত বোতামে চাপ দিয়ে চূড়ান্ত করেন। এরপর গোপন কক্ষে ইভিএম মেশিন থাকে। এতে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকে। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে বোতামের চাপ দিতে হয়। এরপর স্ক্রিনে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেখা যায়। ইভিএম মেশিন থেকে কোথায় ভোট দিলেন সেটাও দেখাচ্ছে। এরপর সবুজ বোতাম (নিশ্চিত ভোট) চাপ দিলেই ভোট সম্পন্ন হয়ে যায়। এইভাবে প্রার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ভোট দেন।

খিলগাঁও মডেল কলেজের সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দিতে আসেন হালিমা বেগম। বয়স ষাটোর্ধ। কেন্দ্রের ৬ নম্বর কক্ষে ভোট দিতে এসে মিলছিল না আঙ্গুলের ছাপ। বার বার চেষ্টা করার পর মিলে আঙুলের ছাপ। এরপর গোপন কক্ষে ভোট দিতে গিয়ে পড়েন আরও সমস্যায়। ইভিএম সম্পর্কে কোন ধারণা থাকায় ভোট প্রদান না করেই বেরিয়ে আসেন। পরে প্রিজাইডিং অফিসার আবারও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর ভোট দিতে সক্ষম হোন।

ভোট দিতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগলেও খুশি হালিমা বেগম। তিনি সংবাদকে বলেন, ৮/৯ বার চেষ্টার পর আঙুলের ছাপ মিলল। পরে ভোট দিতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ি। কোনকিছুই বুঝছিলাম না। আগে কখনও এমন ভোট দেইনি। পরে বাইরে আসার পর সবাই বুঝিয়ে দিলে ভোট দিতে পারছি।

সকাল আটটা থেকে আড়াই ঘণ্টায় এই বুথে ৩৭৭ জনের মধ্যে ২৪ জন ভোট দেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হালিম। তিনি জানান, তার কেন্দ্রে অনেকেরই একাধিকবার চেষ্টার পর মিলেছে। পোলিং অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাপ মিলাতে একটু সমস্যা হয়েছে। এর বাইরে তেমন কোন জটিলতা নেই।

খিলগাঁও মডেল কলেজের কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথেও একই রকম চিত্র দেখা গেছে। ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মেলায় সময় লাগার বিষয়টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শওকত আলীও স্বীকার করেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।

মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিএসসিসি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০, ৬১, ৬২ তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এখানেও ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মেলায় বেশ ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। প্রিজাইডিং অফিসার এএসএম মাসুদ সংবাদকে বলেন, কয়েকবার চেষ্টা করার পরও না মিললে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মাতুয়াইল উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৃথক কেন্দ্রের বুথগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রত্যেক বুথেই আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি অনেকে। তবে ইভিএমে ভোট দেয়ার পর অনেক ভোটারই বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়া আসলে সোজা।

মাতুয়াইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে হোসনা বেগম বলেন, ইভিএম নিয়ে কিছু জানতাম না। ভোটকেন্দ্রে আসার পরে অফিসাররা বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। দায়িত্বরত পোলিং অফিসার জাহানারা বেগম বলেন, সার্বিকভাবে সমস্যা নগন্য।

আরেক পোলিং অফিসার কামরুন নাহার বলেন, যারা ইভিএম নিয়ে কিছুই জানেন না তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মাতুয়াইল উচ্চবিদ্যালয়ের ১০৪৬ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক সংবাদকে বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার আগে আঙ্গুলের ছাপ মেলাতে হয়। আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এরকম এক শতাংশ ভোটারের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মাতুয়াইল হাজী লতিফ ভূইয়া কলেজের দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তিনি তিনজনকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে প্রথম ইভিএম ভোট দিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টি দেখা গেছে। রাজধানীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজ বিদ্যাপিঠ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আবদুর রহমান নামের এক ভোটার বলেন, প্রথমে ভাবছিলাম এই মেশিনে ভোট দিয়ে ঝামেলা হবে। কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি অনেক সহজ হয়েছে। খুব কম সময়ে ভোট দেয়া হয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এন আইডির নম্বর দিয়ে ভোটার নম্বর সংগ্রহ করি। এরপর নির্দিষ্ট বুথ দিয়ে ইভিএম মেশিনে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর মনিটরে ছবি ভেসে ওঠে। এরপর আঙ্গুলে কালি দেয়ার পর গোপন রুমে দিয়ে ভোট দিয়েছি। তিনি আরও জানান, মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ তিনটি ভোট দেয়ার পর ইভিএম মেশিন ভোট কনফার্ম করেছে। ১-২ মিনিটরে মধ্যে ভোট দেয়া শেষ হয়েছে। কামীম মিয়া নামের এক ভোটার বলেন, ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোটপ্রদান সহজ।