আশ্বাসের পরও সন্ত্রাসীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি

হাসপাতাল বেডেই সুমনকে হুমকি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সুমনসহ ছয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও র‌্যাব মহাপরিচালক সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তার কোন ফলাফল দেখা যায়নি। উল্টো সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার আগামি নিউজ ডটকমের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা উত্তরের ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন হুমকি দিয়েছেন।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোন ধরনের ভয়-ভীতিহীন একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সাংবাদিক আহত হওয়াসহ নির্বাচনী সহিংসতার প্রতিটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার সুমনকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নিজের অনুসারিদের দিয়ে হামলা চালিয়ে, কুপিয়ে রক্তাক্ত করে কাউন্সিলর খোকন অনুসারীরা। গতকাল বেলা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোকন তার দুই অনুসারীসহ ঢামেকে এসে এ হুমকি দিয়ে যান। এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানান। এদিকে, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর হামলা ও হুমকির বিষয় অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। তিনি বলেন, আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। একজন আহত মানুষকে আমি হুমকি দেব কেন, বরং আমি বলেছি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। কারা তাকে হামলা করেছে আমি জানি না। হামলাকারিদের তিনি চিনেন না বলে জানান।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন সুমন জানান, প্রথমে ঢামেকে এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন খোকন ও তার সঙ্গে আসা লোকজন। পরে আমাকে দেখতে পেয়ে বেডের পাশে বসেন। কথা বলার এক পর্যায়ে নির্বাচনের দিনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না করার জন্য প্রথমে অনুরোধ জানান। হামলার সঙ্গে তিনি বা তার লোক জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তবে চিকিৎসাধীন সুমন তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন খোকন। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনিও দেখে নেবেন বলে জানিয়ে যান।

এদিকে গত শনিবার দুপুরে সুমনকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এ সময় তিনি গুরুতর আহত মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তবে র‌্যাব প্রধানের এমন আশ্বাসের দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘সাংবাদিক সুমনের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও খবর
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি অত্যন্ত জরুরি প্রধানমন্ত্রী
আমানতের সুদহার নামলো ৬ শতাংশে
আশ্রয়গ্রহণকারী ১২ লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক সম্পন্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ হুমকির মুখে : পরিবেশমন্ত্রী
বেরোবিতে বহুমুখী সংকট নিরসনে শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষা পরিষদ
হরতালে বন্ধ হয়নি ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
পাঁচ দেশের তিন শতাধিক কবির অংশগ্রহণ
যশোরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘৩২-এর ক্রন্দন’ মঞ্চায়িত
বইমেলা শুরু
দুই সিটির ফল প্রকাশে মিডিয়া কারচুপি ছিল ফখরুল
হরতাল ডেকে মাঠে ছিল না বিএনপি

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২০ মাঘ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সাংবাদিকের ওপর হামলা

আশ্বাসের পরও সন্ত্রাসীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি

হাসপাতাল বেডেই সুমনকে হুমকি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সুমনসহ ছয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও র‌্যাব মহাপরিচালক সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তার কোন ফলাফল দেখা যায়নি। উল্টো সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার আগামি নিউজ ডটকমের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা উত্তরের ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন হুমকি দিয়েছেন।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোন ধরনের ভয়-ভীতিহীন একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সাংবাদিক আহত হওয়াসহ নির্বাচনী সহিংসতার প্রতিটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার সুমনকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নিজের অনুসারিদের দিয়ে হামলা চালিয়ে, কুপিয়ে রক্তাক্ত করে কাউন্সিলর খোকন অনুসারীরা। গতকাল বেলা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোকন তার দুই অনুসারীসহ ঢামেকে এসে এ হুমকি দিয়ে যান। এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানান। এদিকে, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর হামলা ও হুমকির বিষয় অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। তিনি বলেন, আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। একজন আহত মানুষকে আমি হুমকি দেব কেন, বরং আমি বলেছি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। কারা তাকে হামলা করেছে আমি জানি না। হামলাকারিদের তিনি চিনেন না বলে জানান।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন সুমন জানান, প্রথমে ঢামেকে এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন খোকন ও তার সঙ্গে আসা লোকজন। পরে আমাকে দেখতে পেয়ে বেডের পাশে বসেন। কথা বলার এক পর্যায়ে নির্বাচনের দিনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না করার জন্য প্রথমে অনুরোধ জানান। হামলার সঙ্গে তিনি বা তার লোক জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তবে চিকিৎসাধীন সুমন তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন খোকন। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনিও দেখে নেবেন বলে জানিয়ে যান।

এদিকে গত শনিবার দুপুরে সুমনকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এ সময় তিনি গুরুতর আহত মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তবে র‌্যাব প্রধানের এমন আশ্বাসের দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘সাংবাদিক সুমনের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।