তিন ভাষা সংগ্রামী কবি পেলেন ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে রাত ৯টায় ‘কবিতার গান’ শীর্ষক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২০’। ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী জমকালো এই আসরে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের তিন শতাধিক কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিষদের নেতাসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উৎসব উদ্বোধক কবি মহাদেব সাহা অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ। সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনজন ভাষাসংগ্রামী প্রবীণ কবিকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন- কবি আহমদ রফিক, গীতি-কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।

দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তিপর্ব, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গান ইত্যাদি। এতে সুইডেন, স্পেন, উজবেকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভারতসহ দেশ-বিদেশের কবিরা অংশ নিয়েছেন।

২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি মহাদেব সাহা। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় সংগীত, একুশের গান, উৎসব সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। বাঙালির সব জয়ের শিল্পিত ও সুন্দর সহযোদ্ধা কবিতার উপর সরকারের বাধাদানের প্রতিবাদে কবিরা রাজপথে নেমে আসেন। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব আজ এই আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে।

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জাতীয় কবিতা উৎসব শেষ

তিন ভাষা সংগ্রামী কবি পেলেন ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’

প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে রাত ৯টায় ‘কবিতার গান’ শীর্ষক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২০’। ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী জমকালো এই আসরে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের তিন শতাধিক কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিষদের নেতাসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উৎসব উদ্বোধক কবি মহাদেব সাহা অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ। সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনজন ভাষাসংগ্রামী প্রবীণ কবিকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন- কবি আহমদ রফিক, গীতি-কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।

দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তিপর্ব, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গান ইত্যাদি। এতে সুইডেন, স্পেন, উজবেকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভারতসহ দেশ-বিদেশের কবিরা অংশ নিয়েছেন।

২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি মহাদেব সাহা। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় সংগীত, একুশের গান, উৎসব সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। বাঙালির সব জয়ের শিল্পিত ও সুন্দর সহযোদ্ধা কবিতার উপর সরকারের বাধাদানের প্রতিবাদে কবিরা রাজপথে নেমে আসেন। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব আজ এই আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে।