খালেদার জামিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে নয় : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যুটি পুরোটাই আদালতের বিষয়। এটা আওয়ামী লীগের হাতে নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নেই। এ বিষয়ে বার বার আওয়ামী লীগের কাছে কিছু জানতে চেয়ে বিব্রত না করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের অধীনস্থ সব সাংগঠনিক জেলা/মহানগর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ যৌথ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল ফারুক খান (অব.), আবদুর রহমান ও শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজের দল ভারি করার জন্য বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টানবেন না। তাহলে দল শক্তিশালী হবে না, দুর্বল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে সাংগঠনিক দুর্বলতা উপলদ্ধি করতে পারছেন না। দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলে সরকার কখনই শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী সরকার তখনই হবে যখন আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আমাদের সব চাহিদাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই পূরণ করছেন। দল যদি শক্তিশালী থাকে তাহলে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব। যার যার জায়গা থেকে অবস্থান নিতে পারব। যেসব সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হয়নি সেগুলো আগামী এপ্রিল মাস থেকে কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, কেউ ঘরে বসে কমিটি করবেন না। কমিটি করতে হলে অবশ্যই সম্মেলন করতে হবে। আর কোন কমিটি ভাঙতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি লাগবে। কমিটি ভাঙার ক্ষমতা আপনাদের নেই। আপনারা সুপারিশ করতে পারেন। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত হবে আপনার সুপারিশ যথাযথ কিনা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কারচুপিমুক্ত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে অনেক শঙ্কা ছিল। বিশেষ করে ইভিএমকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রতিপক্ষরা নানাভাবে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তা ব্যর্থ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কারচুপিমুক্ত নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলের বোঝা উচিত, কারচুপিমুক্ত বলেই ইভিএমের প্রয়োজন ছিল। ইভিএমে কারচুপি বা জালিয়াতির কোন সুযোগ ছিল না। যদি এরকম সুযোগ থাকত তাহলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার বেশি থাকত। তিনি বলেন, এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চারটি আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মকভাবে অংশ নিতে হবে। সবার উদ্দেশ্য থাকবে যাতে ভোটার উপস্থিতিটা বেশি হয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

আরও খবর
উৎপাদনে এগিয়ে সঞ্চালনে পিছিয়ে
নদীতীরের ১১৩ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করা হবে নৌপ্রতিমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশির অবস্থা আশঙ্কাজনক
ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার পুনর্বিবেচনার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে
দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
বনায়নের নামে চলছে হরিলুট
ঘনিয়ে আসছে মামলার রায়ের দিন
কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে আগের মতোই
নিহত ৬৭ জনের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত
চাকরি ৯৭৭ দিন, ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ৭৫০ দিন
গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
অমর একুশ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন
ক্ষণগণনা : আর ২৫ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

খালেদার জামিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে নয় : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যুটি পুরোটাই আদালতের বিষয়। এটা আওয়ামী লীগের হাতে নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নেই। এ বিষয়ে বার বার আওয়ামী লীগের কাছে কিছু জানতে চেয়ে বিব্রত না করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের অধীনস্থ সব সাংগঠনিক জেলা/মহানগর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ যৌথ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল ফারুক খান (অব.), আবদুর রহমান ও শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজের দল ভারি করার জন্য বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টানবেন না। তাহলে দল শক্তিশালী হবে না, দুর্বল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে সাংগঠনিক দুর্বলতা উপলদ্ধি করতে পারছেন না। দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলে সরকার কখনই শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী সরকার তখনই হবে যখন আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আমাদের সব চাহিদাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই পূরণ করছেন। দল যদি শক্তিশালী থাকে তাহলে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব। যার যার জায়গা থেকে অবস্থান নিতে পারব। যেসব সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হয়নি সেগুলো আগামী এপ্রিল মাস থেকে কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, কেউ ঘরে বসে কমিটি করবেন না। কমিটি করতে হলে অবশ্যই সম্মেলন করতে হবে। আর কোন কমিটি ভাঙতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি লাগবে। কমিটি ভাঙার ক্ষমতা আপনাদের নেই। আপনারা সুপারিশ করতে পারেন। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত হবে আপনার সুপারিশ যথাযথ কিনা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কারচুপিমুক্ত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে অনেক শঙ্কা ছিল। বিশেষ করে ইভিএমকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রতিপক্ষরা নানাভাবে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তা ব্যর্থ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কারচুপিমুক্ত নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলের বোঝা উচিত, কারচুপিমুক্ত বলেই ইভিএমের প্রয়োজন ছিল। ইভিএমে কারচুপি বা জালিয়াতির কোন সুযোগ ছিল না। যদি এরকম সুযোগ থাকত তাহলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার বেশি থাকত। তিনি বলেন, এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চারটি আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মকভাবে অংশ নিতে হবে। সবার উদ্দেশ্য থাকবে যাতে ভোটার উপস্থিতিটা বেশি হয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।