শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত তুলে নেয়ার আহ্বান

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ সময় বিএসইসির কমিশনাররা ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেটে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। পুঁজিবাজারে কলো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তিন বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্তসাপেক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতারা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে এবং ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। এরপর থেকেই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত তিন বছরের লক-ইনের শর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আসছেন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সংবাদ সম্মেলন করে এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছে। এই শর্ত তুলে দেয়ার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমানও দাবি জানিয়েছেন। স্টেকহোল্ডারদের পর এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাও কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত তুলে নেয়ার দাবি জানালো।

এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত তিন বছরের লক-ইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এছাড়া লভ্যাংশে করমুক্ত আয়ের সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও করহার কমানো, শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে করহার শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ করা এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭ দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে। শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিবেচনায় নেয়ার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে বিএসইসির চেয়ারম্যান দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন। এখন এগুলো নিয়ে এনবিআর আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

শনিবার, ২০ জুন ২০২০ , ৬ আষাঢ় ১৪২৭, ২৭ শাওয়াল ১৪৪১

শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত তুলে নেয়ার আহ্বান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ সময় বিএসইসির কমিশনাররা ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেটে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। পুঁজিবাজারে কলো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তিন বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্তসাপেক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতারা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে এবং ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। এরপর থেকেই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত তিন বছরের লক-ইনের শর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আসছেন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সংবাদ সম্মেলন করে এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছে। এই শর্ত তুলে দেয়ার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমানও দাবি জানিয়েছেন। স্টেকহোল্ডারদের পর এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাও কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত তুলে নেয়ার দাবি জানালো।

এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত তিন বছরের লক-ইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এছাড়া লভ্যাংশে করমুক্ত আয়ের সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও করহার কমানো, শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে করহার শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ করা এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭ দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে। শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিবেচনায় নেয়ার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে বিএসইসির চেয়ারম্যান দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন। এখন এগুলো নিয়ে এনবিআর আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।