খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ ২৮ আগস্ট থেকে খাগড়াছড়িতে ছয় শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাস পর খুলছে সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে গেইট খুলছে খাগড়াছড়ি সকল পর্যটন কেন্দ্রের। পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের পরে শর্তসাপেক্ষে ও সীমিত পরিসরে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এজন্য দর্শনার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ মানতে হবে ছয় শর্ত। দীর্ঘ প্রতিক্ষার ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে রোববার (২৩শে আগস্ট) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর ফলে সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর ওপর করোনাকালীন সরকারি বাধা নিষেধ উঠে যাবে। জেলা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক জেলা কমিটির সভা শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ২৮শে আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ছয় শর্ত মেনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝর্না, আলুটিলা গুহা পর্যটন কেন্দ্র ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে। শর্তের মধ্যে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের আগে মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম। এদিকে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করে এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। আর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে প্রায় ১শ টিরও বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সেবায় আবাসিক হোটেল-মোটেলে প্রায় ৪ হাজার জনকর্মী, ট্যুরিস্ট গাইডসহ,৭-৮ শতাধিক গাড়িচালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের(কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গেল ১৮ই মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের লাভজনক পর্যটন শিল্পখাত।
শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০
প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ ২৮ আগস্ট থেকে খাগড়াছড়িতে ছয় শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাস পর খুলছে সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে গেইট খুলছে খাগড়াছড়ি সকল পর্যটন কেন্দ্রের। পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের পরে শর্তসাপেক্ষে ও সীমিত পরিসরে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এজন্য দর্শনার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ মানতে হবে ছয় শর্ত। দীর্ঘ প্রতিক্ষার ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে রোববার (২৩শে আগস্ট) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর ফলে সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর ওপর করোনাকালীন সরকারি বাধা নিষেধ উঠে যাবে। জেলা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক জেলা কমিটির সভা শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ২৮শে আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ছয় শর্ত মেনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝর্না, আলুটিলা গুহা পর্যটন কেন্দ্র ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে। শর্তের মধ্যে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের আগে মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম। এদিকে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করে এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। আর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে প্রায় ১শ টিরও বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সেবায় আবাসিক হোটেল-মোটেলে প্রায় ৪ হাজার জনকর্মী, ট্যুরিস্ট গাইডসহ,৭-৮ শতাধিক গাড়িচালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের(কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গেল ১৮ই মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের লাভজনক পর্যটন শিল্পখাত।