২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৭ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে

নদীভাঙন রোধে এ বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৭ কিলোমিটার বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এছাড়া সারাদেশে ৬৪ জেলার ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬৩০টি প্যাকেজে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মো. আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সামশুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ফরিদুল হক খান, নুরুন্নবী চৌধুরী।

সভায় ভাঙন রোধসহ একাধিক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের কাজের নজরদারি বৃদ্ধিতে প্রশংসা করা হয় এবং কাজের অগ্রগতি নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সমন্বয় করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বছর বন্যায় নদী ভাঙন রোধ, বাঁধ ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১১৭ কিলোমিটার মেরামত কাজ চলমান আছে বলে উল্লেখ করা হয়। একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাসমূহকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশকে ৬টি শ্রেণীতে (হটস্পট) ভাগ করা হয়েছে। পানির প্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা করে নদী ভাঙন রোধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সব প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সভায় জানানো হয়।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

নদীভাঙন রোধে

২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৭ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নদীভাঙন রোধে এ বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৭ কিলোমিটার বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এছাড়া সারাদেশে ৬৪ জেলার ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬৩০টি প্যাকেজে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মো. আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সামশুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ফরিদুল হক খান, নুরুন্নবী চৌধুরী।

সভায় ভাঙন রোধসহ একাধিক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের কাজের নজরদারি বৃদ্ধিতে প্রশংসা করা হয় এবং কাজের অগ্রগতি নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সমন্বয় করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বছর বন্যায় নদী ভাঙন রোধ, বাঁধ ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১১৭ কিলোমিটার মেরামত কাজ চলমান আছে বলে উল্লেখ করা হয়। একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাসমূহকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশকে ৬টি শ্রেণীতে (হটস্পট) ভাগ করা হয়েছে। পানির প্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা করে নদী ভাঙন রোধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সব প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সভায় জানানো হয়।