মানিকগঞ্জের ৭ উপজেলায় অবাধে পোনা মাছ বিক্রি

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে অবাধে নিষিদ্ধ পোনা মাছ বিক্রি হচ্ছে। পোনা মাছ অবাধে নিধন করার ফলে এক দিকে যেমন মাছ নিনিষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে মাছের বংশবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি ভাবে এসব পোনা মাছ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ হলেও মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে এমনকি জনবহুল এলাকাগুলোতে রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে এই সব মাছ বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলাগুলোতে প্রতিদিন ভোরে মাছের আরত বসে। এসব আড়তে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। এদিকে ডাক ঢোল পিটিয়ে উপজেলা মৎস্য অধিদফতরগুলো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করলেও অবৈধভাবে পোনা মাছের নিধন বন্ধে তাদের কোন ভূমিকা দেখা যায় না। তবে মৎস্য অধিদফতর বলছে পোনা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সরকারি রেশনের আওতায় না আনতে পারলে পোনা মাছ বিক্রি বন্ধ করা যাবে না। দুই মাসে এই পোনা মাছ নিধন বন্ধ রাখতে পারলে প্রকৃতিভাবে মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। জেলেরাও লাভবান হবে। তবে মৎস্য অফিসের ভূমিকা না থাকায় অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন। মাছের প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ ইঞ্চির নিচে রুই, কাতল, মৃগেল কালিবাউশ জাতীয় মাছ ধরা সরকাররিভাবে নিষিদ্ধ হলেও এটি মানছেন না স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নদ-নদী, খাল বিলে নিষিদ্ধ কোনাজাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ নিধন করছেন তারা। এভাবে কোনাজাল ও কারেন্ট জালে অবাধ ব্যবহারের ফলে বর্তমানে মিঠা পানির মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকা বেইথা এলাকায় মাছের আড়ত গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব মাছ ব্যবসায়ীদের ড্রাম ও মাছের পাত্রে বিপুল পরিমাণ মাছের পোনা বিক্রির জন্য থালাতে নিয়ে বসে আছে মাছ ব্যবসায়ীরা। পোনা মাছ বিক্রেতারা বলেন, আমরা আমরা পোনা মাছ ধরিনি। জেলেরা নিয়ে আড়তে আসে। তাদের কাছ থেকে আমরা ক্রয় করে বিক্রি করে থাকি। মাছ বিক্রি করতে আসা একজন জেলে জানান, বর্তমানে জালে অন্য মাছ উঠে না তবে পোনা মাছ বিপুল পরিমাণে জালে উঠে। পোনা মাছ বিক্রি করে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছি।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

মানিকগঞ্জের ৭ উপজেলায় অবাধে পোনা মাছ বিক্রি

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে অবাধে নিষিদ্ধ পোনা মাছ বিক্রি হচ্ছে। পোনা মাছ অবাধে নিধন করার ফলে এক দিকে যেমন মাছ নিনিষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে মাছের বংশবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি ভাবে এসব পোনা মাছ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ হলেও মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে এমনকি জনবহুল এলাকাগুলোতে রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে এই সব মাছ বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলাগুলোতে প্রতিদিন ভোরে মাছের আরত বসে। এসব আড়তে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। এদিকে ডাক ঢোল পিটিয়ে উপজেলা মৎস্য অধিদফতরগুলো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করলেও অবৈধভাবে পোনা মাছের নিধন বন্ধে তাদের কোন ভূমিকা দেখা যায় না। তবে মৎস্য অধিদফতর বলছে পোনা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সরকারি রেশনের আওতায় না আনতে পারলে পোনা মাছ বিক্রি বন্ধ করা যাবে না। দুই মাসে এই পোনা মাছ নিধন বন্ধ রাখতে পারলে প্রকৃতিভাবে মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। জেলেরাও লাভবান হবে। তবে মৎস্য অফিসের ভূমিকা না থাকায় অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন। মাছের প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ ইঞ্চির নিচে রুই, কাতল, মৃগেল কালিবাউশ জাতীয় মাছ ধরা সরকাররিভাবে নিষিদ্ধ হলেও এটি মানছেন না স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নদ-নদী, খাল বিলে নিষিদ্ধ কোনাজাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ নিধন করছেন তারা। এভাবে কোনাজাল ও কারেন্ট জালে অবাধ ব্যবহারের ফলে বর্তমানে মিঠা পানির মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকা বেইথা এলাকায় মাছের আড়ত গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব মাছ ব্যবসায়ীদের ড্রাম ও মাছের পাত্রে বিপুল পরিমাণ মাছের পোনা বিক্রির জন্য থালাতে নিয়ে বসে আছে মাছ ব্যবসায়ীরা। পোনা মাছ বিক্রেতারা বলেন, আমরা আমরা পোনা মাছ ধরিনি। জেলেরা নিয়ে আড়তে আসে। তাদের কাছ থেকে আমরা ক্রয় করে বিক্রি করে থাকি। মাছ বিক্রি করতে আসা একজন জেলে জানান, বর্তমানে জালে অন্য মাছ উঠে না তবে পোনা মাছ বিপুল পরিমাণে জালে উঠে। পোনা মাছ বিক্রি করে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছি।