পিরোজপুরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

পিরোজপুরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের বিভিন্ন দোকান থেকে কৌশলে গ্রাহকদের হিসাব নম্বরের ছবি তুলে প্রতারক চক্রের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একটি চক্র। এজন্য মাঠে কাজ করে প্রতারক চক্রের নির্ধারিত এজেন্ট।

পিরোজপুর শহর থেকে এ রকম এক এজেন্টকে আটকের পর বিষয়টি জানতে পেরেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পিরোজপুর শহরের ব্যবসায়ী বশির আহম্মেদ বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম (১৯) পিরোজপুর পৌরসভার কৃষ্ণচূড়া ভাইজোরা গ্রামের ঈসা ফকিরের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুওে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বশিরের মালিকানাধীন নূরানী স্টোর থেকে একই নম্বরে দুই বার ৫১০ টাকা করে ক্যাশ ইন করে প্রতারক চক্রের অন্যতম এজেন্ট কামরুল। ওই দোকান থেকে যারা বিকাশে লেনদেন করেছে, কৌশলে নিজের মুঠোফোনে সেগুলোর ছবি তুলে নেন তিনি। বিষয়টি সন্দেহ হলে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের সহায়তায় কামরুলকে আটক করে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যবসায়ী বশির। এরপর বিভিন্ন দোকান থেকে কৌশলে মুঠোফোনে তুলে আনা বিকাশ নম্বর সম্বলিত ছবি উদ্ধার করা হয় কামরুলের মোবাইল থেকে। প্রতারক চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রতিটি ছবির জন্য এজেন্টকে দুই শ’ টাকা কওে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত কামরুল।

বিকাশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানান, বিকাশের নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এক শ্রেণির যুবকদের মাঠে নামিয়ে তাদের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতারক চক্রটি। এতে করে ওই মোবাইল নম্বরে আর্থিক লেনদেনের তথ্য চলে যায় তাদের হাতে। এরপর লেনদেনের সঠিক তথ্য জানিয়ে বিকাশ হিসাবধারীর নম্বওে ফোন করে তাদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা চালায় তারা। তবে, ব?্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই খেয়াল করা যায় না যে লেনদেনের সময় কে খাতা থেকে বিকাশে লেনদেনের ছবি তুলে নিচ্ছে বলে, এমনটিই জানান পিরোজপুর শহরের বিকাশ ব্যবসায়ী সামসুল আলম।

তিনি আরও জানান, টাকা পাঠানোর সময় নম্বর ভুল হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই লেনদেনের জন্য বিকাশ নম্বরটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিকবার মিলিয়ে নিতে হয়। আর ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততার এ সুযোগে প্রতারকরা খাতা থেকে বিকাশ নম্বওে লেনদেনের তথ্যের ছবি তুলে নেয়।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, প্রতারক চক্রটিকে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭

পিরোজপুরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, পিরোজপুর

পিরোজপুরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের বিভিন্ন দোকান থেকে কৌশলে গ্রাহকদের হিসাব নম্বরের ছবি তুলে প্রতারক চক্রের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একটি চক্র। এজন্য মাঠে কাজ করে প্রতারক চক্রের নির্ধারিত এজেন্ট।

পিরোজপুর শহর থেকে এ রকম এক এজেন্টকে আটকের পর বিষয়টি জানতে পেরেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পিরোজপুর শহরের ব্যবসায়ী বশির আহম্মেদ বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম (১৯) পিরোজপুর পৌরসভার কৃষ্ণচূড়া ভাইজোরা গ্রামের ঈসা ফকিরের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুওে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বশিরের মালিকানাধীন নূরানী স্টোর থেকে একই নম্বরে দুই বার ৫১০ টাকা করে ক্যাশ ইন করে প্রতারক চক্রের অন্যতম এজেন্ট কামরুল। ওই দোকান থেকে যারা বিকাশে লেনদেন করেছে, কৌশলে নিজের মুঠোফোনে সেগুলোর ছবি তুলে নেন তিনি। বিষয়টি সন্দেহ হলে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের সহায়তায় কামরুলকে আটক করে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যবসায়ী বশির। এরপর বিভিন্ন দোকান থেকে কৌশলে মুঠোফোনে তুলে আনা বিকাশ নম্বর সম্বলিত ছবি উদ্ধার করা হয় কামরুলের মোবাইল থেকে। প্রতারক চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রতিটি ছবির জন্য এজেন্টকে দুই শ’ টাকা কওে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত কামরুল।

বিকাশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানান, বিকাশের নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এক শ্রেণির যুবকদের মাঠে নামিয়ে তাদের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতারক চক্রটি। এতে করে ওই মোবাইল নম্বরে আর্থিক লেনদেনের তথ্য চলে যায় তাদের হাতে। এরপর লেনদেনের সঠিক তথ্য জানিয়ে বিকাশ হিসাবধারীর নম্বওে ফোন করে তাদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা চালায় তারা। তবে, ব?্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই খেয়াল করা যায় না যে লেনদেনের সময় কে খাতা থেকে বিকাশে লেনদেনের ছবি তুলে নিচ্ছে বলে, এমনটিই জানান পিরোজপুর শহরের বিকাশ ব্যবসায়ী সামসুল আলম।

তিনি আরও জানান, টাকা পাঠানোর সময় নম্বর ভুল হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই লেনদেনের জন্য বিকাশ নম্বরটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিকবার মিলিয়ে নিতে হয়। আর ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততার এ সুযোগে প্রতারকরা খাতা থেকে বিকাশ নম্বওে লেনদেনের তথ্যের ছবি তুলে নেয়।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, প্রতারক চক্রটিকে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে।