সাতক্ষীরায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ১২ শয্যায় ভর্তি শতাধিক

সাতক্ষীরায় শিশু ডায়রিয়ায় প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। গ্রামের পর গ্রামে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রাদূর্ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিবাবকরা। হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় অভিবাবকরা শিশুদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছেন। রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে ওঠবে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুরা।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ১২টি। আর শিশু হাসপাতালে মোট শয্যা রয়েছে ৩০টি। ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে দু’হাসপাতালে। এছাড়াও বাইরে অপেক্ষা করছেন অনেকেই। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতর-বাইরে তিল ধারণের জায়গা নেই। একই অবস্থা শিশু হাসপাতালে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এসেছেন অভিভাবকেরা। চিকিৎসার মান নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও শয্যা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। সদর উপজেলার বল্লি এলাকার আবদুল হামিদ জানান, গতপরশু তার ছেলে আলী আযমের ডায়রিয়া শুরু হয়। সঙ্গে বমিও হতে দেখে স্থানীয় চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। সেখানেও সুস্থ্য না হওয়ায় গতকাল বিকেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বেড না পাওয়ায় রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়েছে তাদের। একই কথা বলেন, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের আশরাফ আলী। তিনি জানান, সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসকেরা যথাসময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু শয্যা না থাকায় বারান্দায় থাকতে হয়েছে গত দু’দিন। সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম সরকার জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের ব্যাপক চাপের কারণে চিকিৎসা দিতে হিম-শিম খেতে হচ্ছে তাদের। দিনে গরম-রাতে শীত, এমন আবহাওয়ায় এমনটা বেশি হচ্ছে। এ সময়ে শিশুদের ঠা-া না লাগানো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পরামর্শ এই শিশু বিশেষজ্ঞের।

সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আসাদুজ্জামান জানান, ভাইরাসজনিত (রোটাভাইরাস) কারণে বছরের কিছু-কিছু সময়ে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিশুদের রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাড়িতে সামান্য চিকিৎসা নিলে এমনিতেই ভালো হয়ে যায় শিশুরা। হাসপাতালে শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, বছরের অন্য সময়ে ১২টি বেডই যথেষ্ট থাকে। এখন চাপ খুব। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে।

আরও খবর
কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কাগজে আছে বাস্তবে নেই
বরিশালে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষিতে বিরূপ প্রভাব
গজারিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ৩
সবজিসহ কাঁচাপণ্য বহনে রেলে চালু হচ্ছে লাগেজ ভ্যানের স্টপিজ
খুলনায় গরুর ক্ষুরা রোগ কমেছে দুধ মাংস
নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংকে প্রেমিকার মরদেহ
রাস্তার ৭০ ভাগ সম্পন্ন ২ ব্যক্তির বাধায় ব্যর্থ গ্রামবাসীর উদ্যোগ
সাতক্ষীরায় সড়কে হত ২, আহত ১০
চারঘাট বাজারের আধিপত্য বিবাদে সংঘর্ষ : নিহত ১
৭ দিনেও আইনি নোটিশের জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহী বিভাগে করোনায় মৃত্যু ২
ঝিনাইদহে ১৪ বছর পর চালু সরকারি শিশু হাসপাতাল

সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সাতক্ষীরায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ১২ শয্যায় ভর্তি শতাধিক

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় শিশু ডায়রিয়ায় প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। গ্রামের পর গ্রামে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রাদূর্ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিবাবকরা। হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় অভিবাবকরা শিশুদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছেন। রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে ওঠবে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুরা।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ১২টি। আর শিশু হাসপাতালে মোট শয্যা রয়েছে ৩০টি। ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে দু’হাসপাতালে। এছাড়াও বাইরে অপেক্ষা করছেন অনেকেই। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতর-বাইরে তিল ধারণের জায়গা নেই। একই অবস্থা শিশু হাসপাতালে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এসেছেন অভিভাবকেরা। চিকিৎসার মান নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও শয্যা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। সদর উপজেলার বল্লি এলাকার আবদুল হামিদ জানান, গতপরশু তার ছেলে আলী আযমের ডায়রিয়া শুরু হয়। সঙ্গে বমিও হতে দেখে স্থানীয় চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। সেখানেও সুস্থ্য না হওয়ায় গতকাল বিকেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বেড না পাওয়ায় রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়েছে তাদের। একই কথা বলেন, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের আশরাফ আলী। তিনি জানান, সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসকেরা যথাসময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু শয্যা না থাকায় বারান্দায় থাকতে হয়েছে গত দু’দিন। সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম সরকার জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের ব্যাপক চাপের কারণে চিকিৎসা দিতে হিম-শিম খেতে হচ্ছে তাদের। দিনে গরম-রাতে শীত, এমন আবহাওয়ায় এমনটা বেশি হচ্ছে। এ সময়ে শিশুদের ঠা-া না লাগানো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পরামর্শ এই শিশু বিশেষজ্ঞের।

সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আসাদুজ্জামান জানান, ভাইরাসজনিত (রোটাভাইরাস) কারণে বছরের কিছু-কিছু সময়ে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিশুদের রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাড়িতে সামান্য চিকিৎসা নিলে এমনিতেই ভালো হয়ে যায় শিশুরা। হাসপাতালে শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, বছরের অন্য সময়ে ১২টি বেডই যথেষ্ট থাকে। এখন চাপ খুব। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে।