রংপুরে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে

রংপুরে টিসিবি ডিলারদের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে আমদানি করা পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। ডিলাররা ৭ কেজি পিয়াজ না কিনলে ২ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছেনা। একইভাবে ৫ কেজি পিয়াজ না কিনলে ২ কেজি চিনি বা ডাল বিক্রি করছে না ।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, তেল, চিনি ও মসুর ডালের দাম বাজারে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ৬টি স্থানে স্থানে ট্রাকে করে এসব পণ্য মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতারা টিসিবির ডিলারদের দেয়া শর্তের কারণে পণ্য কিনতে পারছে না। সরেজমিন রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব এলাকা ও কাচারি বাজারে গিয়ে জানা যায়, টিসিবির পণ্যে ক্রেতাদের নানা অভিযোগ। নগরীর মুন্সিপাড়া মহল্লার সালাম মিয়া জানালেন, বিদেশি যে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে তার বেশিরভাগই পচা। তারপরও বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্যতেল ও চিনি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অটোচালক নবিউর রহমান বলেন, আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ টিসিবির ডিলারদের দেয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় পণ্য কিনতে পারছি না। গৃহবধূ হাসিনা বেগম অভিযোগ করলেন ৭ কেজি পিয়াজ কিনলেই দুই লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই এসব পিয়াজ অত্যান্ত নিম্নমানের বেশিরভাগই পচা। পিয়াজ প্রতিকেজি ২০ টাকা করে ৭ কেজি পিয়াজের ১৪০ টাকা আর ভোজ্যতেল ৮০ টাকা লিটার হিসেবে ১৬০ টাকা মোট ৩শ’ টাকা দিলে তবেই তারা দুটি পণ্য বিক্রি করছেন তা নাহলে বিক্রি করছেন না। তাহলে আমাদের জিম্মি করে টিসিবি পণ্য বিক্রি করবে?

একই কথা জানালেন নগরীর গুপ্তপাড়া মহল্লার আশরাফ কাদের, তিনি অভিযোগ করেছেন ৫ কেজি পিয়াজ কিনলে ২ কেজি ডাল এবং একইভাবে ৫ কেজি পিয়াজ কিনলে ২ কেজি চিনি কিনতে বাধ্য করছেন তারা। এটা অমানবিক সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির ডিলার শরিফুল জানালেন, তাদের বাধ্যতামূলক এক হাজার কেজি পিয়াজ নিতে বাধ্য করছে টিসিবি। একইভাবে ১শ’ কেজি ডাল ও ১শ’ কেজি চিনি দেয়া হচ্ছে তাদের। পিয়াজ নিম্নমানের হওয়ায় পিয়াজ বিক্রি না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এ শর্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে টিসিবির রংপুর ডিপো ইনচার্জ প্রতাপ কুমার রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তাদের গোডাউনে প্রচুর পিয়াজ পড়ে আছে সে কারণে আমরা শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। ক্রেতাদের জিম্মি করে পিয়াজ কিনতে বাধ্য করার কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রংপুরে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরে টিসিবি ডিলারদের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে আমদানি করা পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। ডিলাররা ৭ কেজি পিয়াজ না কিনলে ২ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছেনা। একইভাবে ৫ কেজি পিয়াজ না কিনলে ২ কেজি চিনি বা ডাল বিক্রি করছে না ।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, তেল, চিনি ও মসুর ডালের দাম বাজারে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ৬টি স্থানে স্থানে ট্রাকে করে এসব পণ্য মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতারা টিসিবির ডিলারদের দেয়া শর্তের কারণে পণ্য কিনতে পারছে না। সরেজমিন রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব এলাকা ও কাচারি বাজারে গিয়ে জানা যায়, টিসিবির পণ্যে ক্রেতাদের নানা অভিযোগ। নগরীর মুন্সিপাড়া মহল্লার সালাম মিয়া জানালেন, বিদেশি যে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে তার বেশিরভাগই পচা। তারপরও বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্যতেল ও চিনি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অটোচালক নবিউর রহমান বলেন, আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ টিসিবির ডিলারদের দেয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় পণ্য কিনতে পারছি না। গৃহবধূ হাসিনা বেগম অভিযোগ করলেন ৭ কেজি পিয়াজ কিনলেই দুই লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই এসব পিয়াজ অত্যান্ত নিম্নমানের বেশিরভাগই পচা। পিয়াজ প্রতিকেজি ২০ টাকা করে ৭ কেজি পিয়াজের ১৪০ টাকা আর ভোজ্যতেল ৮০ টাকা লিটার হিসেবে ১৬০ টাকা মোট ৩শ’ টাকা দিলে তবেই তারা দুটি পণ্য বিক্রি করছেন তা নাহলে বিক্রি করছেন না। তাহলে আমাদের জিম্মি করে টিসিবি পণ্য বিক্রি করবে?

একই কথা জানালেন নগরীর গুপ্তপাড়া মহল্লার আশরাফ কাদের, তিনি অভিযোগ করেছেন ৫ কেজি পিয়াজ কিনলে ২ কেজি ডাল এবং একইভাবে ৫ কেজি পিয়াজ কিনলে ২ কেজি চিনি কিনতে বাধ্য করছেন তারা। এটা অমানবিক সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির ডিলার শরিফুল জানালেন, তাদের বাধ্যতামূলক এক হাজার কেজি পিয়াজ নিতে বাধ্য করছে টিসিবি। একইভাবে ১শ’ কেজি ডাল ও ১শ’ কেজি চিনি দেয়া হচ্ছে তাদের। পিয়াজ নিম্নমানের হওয়ায় পিয়াজ বিক্রি না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এ শর্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে টিসিবির রংপুর ডিপো ইনচার্জ প্রতাপ কুমার রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তাদের গোডাউনে প্রচুর পিয়াজ পড়ে আছে সে কারণে আমরা শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। ক্রেতাদের জিম্মি করে পিয়াজ কিনতে বাধ্য করার কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।