মা-ছেলে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকার কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিমসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডাদেশের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন হলো করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, পিতার কাছে সন্তান সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সন্তানের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল পিতা। সেই সন্তানকে পিতা অন্যদের সহযোগিতায় হত্যা করে যে জঘন্য অপরাধ করেছেন, তার জন্য মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র প্রাপ্য। তাই সন্তানের বাবাসহ তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে আবদুল করিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। চার্জশিটভুক্ত অন্য দু’জন হলোÑ করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি। ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মসলা ব্যবসায়ী। গত ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। ১০ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। গতকাল এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি সালাউদ্দিন।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কাকরাইলে

মা-ছেলে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত বার্তা পরিবেশক

ঢাকার কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিমসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডাদেশের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন হলো করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, পিতার কাছে সন্তান সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সন্তানের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল পিতা। সেই সন্তানকে পিতা অন্যদের সহযোগিতায় হত্যা করে যে জঘন্য অপরাধ করেছেন, তার জন্য মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র প্রাপ্য। তাই সন্তানের বাবাসহ তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে আবদুল করিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। চার্জশিটভুক্ত অন্য দু’জন হলোÑ করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি। ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মসলা ব্যবসায়ী। গত ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। ১০ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। গতকাল এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি সালাউদ্দিন।