কেরানীগঞ্জে

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রিপন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

গ্রিন ইউনিভার্সিটির গণমাধ্যম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রিপন আহম্মেদের পরিকল্পিত হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। গতকাল সকালে কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের ভাওয়ারভিটি এলাকার ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত রিপনের বৃদ্ধবাবা মো. ইদ্রিস আলী ছোটভাই রায়হান, গ্রিন ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অলিউর রহমান, গ্রিন ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, গণমাধ্যম বিভাগের শিক্ষার্থী ও রিপনের সহপাঠি সাখাওয়াত হোসেন সুজনসহ এলাকাবাসী। চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি রাতে কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর করেরগাঁও সড়কে ময়লা স্তুপের উপরে থেকে রিপনে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও এলাকাবাসী এ সময় তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা মেলে।

এই ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনার মামলা নেয় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কিন্তু নিহতের বাবা জানান তিনি হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি এবং এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন উপস্থিত বক্তরা। পরিবারের দাবি একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে রিপনের লাশ পরে আছে ওই এলাকায়। ফোন পেয়ে আমরা ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের ছোট ভাই রায়হানের দাবি আমার ভাইয়ের শরীরে মারধরের অনেক চিহ্ন ছিল হাতের নখ তুলে ফেলে, বাম পায়ের উরুতে ক্ষত চিহ্ন ছিল। পরনের প্যান্টের নিচে লাঠিপেটা ও ক্ষত চিহ্ন থাকলেও প্যান্টে কোন ধরনের ছেড়াফাটার নমুনা দেখিনি। এতে সহজেই বোঝা যায় আমার বড় ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখানে ফেলে গাড়ি দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন হত্যায় জড়িতরা। এই হত্যার কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, সহপাঠী ও নিহত রিপনের পরিবারের স্বজনরা। রিপন হত্যার সঠিক তদন্ত করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি জানান তারা মানববন্ধনে।

নিহত রিপনের মামলার বিষয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসআই রাজীব বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে রিপনের মরদেহটি ঊদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ মর্গে পাঠাই। প্রাথমিক তদন্তে আমরা এটা সড়ক দুর্ঘটনা হিসাবে দেখছি। এ বিষয়ে যদি স্বজনদের কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোটের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কেরানীগঞ্জে

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রিপন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

image

গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিপন হত্যার বিচার দাবিতে কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন -সংবাদ

গ্রিন ইউনিভার্সিটির গণমাধ্যম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রিপন আহম্মেদের পরিকল্পিত হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। গতকাল সকালে কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের ভাওয়ারভিটি এলাকার ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত রিপনের বৃদ্ধবাবা মো. ইদ্রিস আলী ছোটভাই রায়হান, গ্রিন ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অলিউর রহমান, গ্রিন ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, গণমাধ্যম বিভাগের শিক্ষার্থী ও রিপনের সহপাঠি সাখাওয়াত হোসেন সুজনসহ এলাকাবাসী। চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি রাতে কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর করেরগাঁও সড়কে ময়লা স্তুপের উপরে থেকে রিপনে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও এলাকাবাসী এ সময় তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা মেলে।

এই ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনার মামলা নেয় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কিন্তু নিহতের বাবা জানান তিনি হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি এবং এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন উপস্থিত বক্তরা। পরিবারের দাবি একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে রিপনের লাশ পরে আছে ওই এলাকায়। ফোন পেয়ে আমরা ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের ছোট ভাই রায়হানের দাবি আমার ভাইয়ের শরীরে মারধরের অনেক চিহ্ন ছিল হাতের নখ তুলে ফেলে, বাম পায়ের উরুতে ক্ষত চিহ্ন ছিল। পরনের প্যান্টের নিচে লাঠিপেটা ও ক্ষত চিহ্ন থাকলেও প্যান্টে কোন ধরনের ছেড়াফাটার নমুনা দেখিনি। এতে সহজেই বোঝা যায় আমার বড় ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখানে ফেলে গাড়ি দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন হত্যায় জড়িতরা। এই হত্যার কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, সহপাঠী ও নিহত রিপনের পরিবারের স্বজনরা। রিপন হত্যার সঠিক তদন্ত করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি জানান তারা মানববন্ধনে।

নিহত রিপনের মামলার বিষয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসআই রাজীব বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে রিপনের মরদেহটি ঊদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ মর্গে পাঠাই। প্রাথমিক তদন্তে আমরা এটা সড়ক দুর্ঘটনা হিসাবে দেখছি। এ বিষয়ে যদি স্বজনদের কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোটের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।