বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন পঞ্চগড়ের তরুণ উদ্যোক্তারা। জেলার আবহাওয়া এবং পানির গুণাগুণের কারণে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দিন দিন বাড়ছে এই পদ্ধতির মাছ চাষি। অল্প জমির ওপর স্বল্প খরচে অনেক লাভ হওয়ার কারণে তরুণ উদ্যোক্তারা এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
করোনা সঙ্কটের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বেশকিছু শিক্ষার্থী বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তারাই এখন বিভিন্ন এলাকায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। মাছ চাষিদের সংগঠিত করেছেন। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী এবং সদর উপজেলার বেশ কিছু উদ্যমী তরুণ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মাগুড়, কই, শিং, পাবদা ও তেলাপিয়াসহ নানা রকমের মাছ চাষ করছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরে আহনাফ আবিদ প্রধান কৌশিক গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়ালেখা করেন। করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাড়ি ফিরে এসে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন।
তার বাড়ির আঙিনা জুড়ে প্রথমে একটি চৌবাচ্চায় শুরু করেন তিনি। শুরুতেই লাভের মুখ দেখেন। পরে আরও কয়েকটি চৌবাচ্চায় মাছ চাষ শুরু করার পাশাপাশি এলাকার তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। এই উপজেলায় এখন ৯০ জন চাষি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। তারা একটি সমিতিও গঠন করেছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা বায়োফ্লক ফিস ফার্মিং এ টু জেড নামের ওই সংগঠনটি মাছ চাষিদের সংগঠিত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রযুক্তি সরবরাহ করছেন। কৌশিক জানান, ৫ হাজার লিটার পানির একটি চৌবাচ্চায় ন্যূনতম ৩ হাজার মাছ চাষ করা সম্ভব। বছরে তিনবার চাষ করে ২০ হাজার টাকা অনায়াসে লাভ হয়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বাড়ির ছাদে, আঙিনায় বা পতিত জমিতে চাষ করা যায়।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে কিছু একটা করার তাড়না থেকেই বায়োফ্লক পদ্ধতি বেছে নেই। এরপর এলাকার তরুণদের সংগঠিত করি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারুখ খন্দকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ফিরে আসি। বাড়িতে বসেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি। বর্তমানে বেশকিছু শিক্ষার্থী এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি,পঞ্চগড়
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন পঞ্চগড়ের তরুণ উদ্যোক্তারা। জেলার আবহাওয়া এবং পানির গুণাগুণের কারণে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দিন দিন বাড়ছে এই পদ্ধতির মাছ চাষি। অল্প জমির ওপর স্বল্প খরচে অনেক লাভ হওয়ার কারণে তরুণ উদ্যোক্তারা এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
করোনা সঙ্কটের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বেশকিছু শিক্ষার্থী বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তারাই এখন বিভিন্ন এলাকায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। মাছ চাষিদের সংগঠিত করেছেন। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী এবং সদর উপজেলার বেশ কিছু উদ্যমী তরুণ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মাগুড়, কই, শিং, পাবদা ও তেলাপিয়াসহ নানা রকমের মাছ চাষ করছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরে আহনাফ আবিদ প্রধান কৌশিক গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়ালেখা করেন। করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাড়ি ফিরে এসে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন।
তার বাড়ির আঙিনা জুড়ে প্রথমে একটি চৌবাচ্চায় শুরু করেন তিনি। শুরুতেই লাভের মুখ দেখেন। পরে আরও কয়েকটি চৌবাচ্চায় মাছ চাষ শুরু করার পাশাপাশি এলাকার তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। এই উপজেলায় এখন ৯০ জন চাষি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। তারা একটি সমিতিও গঠন করেছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা বায়োফ্লক ফিস ফার্মিং এ টু জেড নামের ওই সংগঠনটি মাছ চাষিদের সংগঠিত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রযুক্তি সরবরাহ করছেন। কৌশিক জানান, ৫ হাজার লিটার পানির একটি চৌবাচ্চায় ন্যূনতম ৩ হাজার মাছ চাষ করা সম্ভব। বছরে তিনবার চাষ করে ২০ হাজার টাকা অনায়াসে লাভ হয়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বাড়ির ছাদে, আঙিনায় বা পতিত জমিতে চাষ করা যায়।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে কিছু একটা করার তাড়না থেকেই বায়োফ্লক পদ্ধতি বেছে নেই। এরপর এলাকার তরুণদের সংগঠিত করি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারুখ খন্দকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ফিরে আসি। বাড়িতে বসেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি। বর্তমানে বেশকিছু শিক্ষার্থী এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।