মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করুন, ব্যবস্থা নিন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হচ্ছে জনগণের জানমাল রক্ষা করা, অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যের বিরুদ্ধেই জনগণের জানমাল বিপন্ন করার অভিযোগ ওঠে, তাদের অনেক অন্যায়-অপরাধের কথা জানা যায়। অতীতে অপহরণ, হত্যা বা গুমের মতো অনেক গুরুতর অপরাধে জড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্য।

গত শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি গাড়িতে ওঠার পরই নিখোঁজ হন পৌর নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মসিউর রহমান সবুজ। নিখোঁজ হওয়ার খবরে তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ভাঙচুর শুরু করেন, অগ্নিসংযোগ ঘটান। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হলে শতাধিক মানুষ আহত হন।

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ফিরে এসে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান অসত্য কথা বলে তাকে ঢাকায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। সেখানে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উক্ত মেয়র প্রার্থী বিষয়টি স্থানীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু তার অভিযোগের কোন তদন্ত হয়নি।

পুলিশ কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। রাজনৈতিক দলও পুলিশকে দলীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। একজন মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। এর সঙ্গে একজন নাগরিকের নিরাপত্তার প্রশ্ন যেমন জড়িত, তেমন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের বিষয়টিও জড়িত। অভিযোগটি অবশ্যই আমলে নিতে হবে। এর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগকেও ঘটনা খতিয়ে দেখতে হবে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করুন, ব্যবস্থা নিন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হচ্ছে জনগণের জানমাল রক্ষা করা, অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যের বিরুদ্ধেই জনগণের জানমাল বিপন্ন করার অভিযোগ ওঠে, তাদের অনেক অন্যায়-অপরাধের কথা জানা যায়। অতীতে অপহরণ, হত্যা বা গুমের মতো অনেক গুরুতর অপরাধে জড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্য।

গত শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি গাড়িতে ওঠার পরই নিখোঁজ হন পৌর নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মসিউর রহমান সবুজ। নিখোঁজ হওয়ার খবরে তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ভাঙচুর শুরু করেন, অগ্নিসংযোগ ঘটান। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হলে শতাধিক মানুষ আহত হন।

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ফিরে এসে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান অসত্য কথা বলে তাকে ঢাকায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। সেখানে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উক্ত মেয়র প্রার্থী বিষয়টি স্থানীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু তার অভিযোগের কোন তদন্ত হয়নি।

পুলিশ কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। রাজনৈতিক দলও পুলিশকে দলীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। একজন মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। এর সঙ্গে একজন নাগরিকের নিরাপত্তার প্রশ্ন যেমন জড়িত, তেমন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের বিষয়টিও জড়িত। অভিযোগটি অবশ্যই আমলে নিতে হবে। এর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগকেও ঘটনা খতিয়ে দেখতে হবে।