কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসাতুল আবরার নামে একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার ওই কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচ থেকে রায়হান হোসেন (১০) নামে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহত রায়হান হোসেন পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামের অটোরিক্সা চালক মিজানুর রহমানের ছেলে। নিহতের পিতা মিজানুর রহমান জানান, গত বুধবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে দুপুর ১টায় মাদ্রাসায় চলে যায়। সন্ধ্যায় মাদ্রাসার থেকে ফোন করে জানায়, আমার ছেলে মাদ্রাসায় যায়নি। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করাসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত সাড়ে ১০টার পর মাদ্রাসার একটি শিক্ষক আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার ফোনে কল করে আমাদের মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। আমরা মাদ্রাসায় যাওয়ার পর ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচে আমার ছেলের মরদেহ দেখান।
মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশিদ জানান, সন্ধ্যায় আমরা হাজিরা ডাকার সময় রায়হানকে না পেয়ে খোঁজ নেই। তাকে না পেয়ে আমরা তার বাড়িতে খবর দেই। রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমাতে যাওয়ার সময় বেডিং এর স্তুপ থেকে তাদের বেডিং নেয়ার সময় ওই ছাত্রকে দেখে আমাদের ডেকে দেখান। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে আমরা বলতে পারছি না।
শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসাতুল আবরার নামে একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার ওই কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচ থেকে রায়হান হোসেন (১০) নামে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহত রায়হান হোসেন পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামের অটোরিক্সা চালক মিজানুর রহমানের ছেলে। নিহতের পিতা মিজানুর রহমান জানান, গত বুধবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে দুপুর ১টায় মাদ্রাসায় চলে যায়। সন্ধ্যায় মাদ্রাসার থেকে ফোন করে জানায়, আমার ছেলে মাদ্রাসায় যায়নি। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করাসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত সাড়ে ১০টার পর মাদ্রাসার একটি শিক্ষক আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার ফোনে কল করে আমাদের মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। আমরা মাদ্রাসায় যাওয়ার পর ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচে আমার ছেলের মরদেহ দেখান।
মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশিদ জানান, সন্ধ্যায় আমরা হাজিরা ডাকার সময় রায়হানকে না পেয়ে খোঁজ নেই। তাকে না পেয়ে আমরা তার বাড়িতে খবর দেই। রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমাতে যাওয়ার সময় বেডিং এর স্তুপ থেকে তাদের বেডিং নেয়ার সময় ওই ছাত্রকে দেখে আমাদের ডেকে দেখান। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে আমরা বলতে পারছি না।