বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরসহ সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

রাজধানীর গুলশানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্রী মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামে দুটি সংগঠন। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুনিয়ার মৃত্যুতে হত্যাকা- আখ্যা দিয়ে ঘটনায় বসুন্ধরার এমডিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যার প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সব সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আসামি সায়েম সোবহান আনভীরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। অন্যথায় ৭ কার্যদিবস পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক নির্যাতিত ভুক্তভোগী ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসায় খুন হয় মোসরাত জাহান মুনিয়া। এ ব্যাপারে তার বড় বোন বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রধান অসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এই মামলা দায়েরের পর থেকেই মুনিয়াকে চরিত্রহীন বানানো এবং তার বোন তানিয়ার চরিত্র হননে অপপ্রচার, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি, মামলা প্রত্যাহারে নানা ধরনের প্রলোভনসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় তারা ইতোমধ্যে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেছে। মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যাকা- শুরু থেকেই আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ খুবই তৎপর। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও এরকম হত্যাকা- ও নানা অনৈতিক কর্মকা- ঘটিয়ে ঠিক একই কায়দায় তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকেছে। কেউ আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলে তার খুব বিপদ বলে বড় বোনকে দ্রুত আসতে বলবে কি? এটা আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন?

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২

মুনিয়ার মৃত্যু

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরসহ সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর গুলশানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্রী মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামে দুটি সংগঠন। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুনিয়ার মৃত্যুতে হত্যাকা- আখ্যা দিয়ে ঘটনায় বসুন্ধরার এমডিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যার প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সব সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আসামি সায়েম সোবহান আনভীরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। অন্যথায় ৭ কার্যদিবস পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক নির্যাতিত ভুক্তভোগী ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসায় খুন হয় মোসরাত জাহান মুনিয়া। এ ব্যাপারে তার বড় বোন বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রধান অসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এই মামলা দায়েরের পর থেকেই মুনিয়াকে চরিত্রহীন বানানো এবং তার বোন তানিয়ার চরিত্র হননে অপপ্রচার, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি, মামলা প্রত্যাহারে নানা ধরনের প্রলোভনসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় তারা ইতোমধ্যে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেছে। মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যাকা- শুরু থেকেই আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ খুবই তৎপর। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও এরকম হত্যাকা- ও নানা অনৈতিক কর্মকা- ঘটিয়ে ঠিক একই কায়দায় তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকেছে। কেউ আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলে তার খুব বিপদ বলে বড় বোনকে দ্রুত আসতে বলবে কি? এটা আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন?