কর্মস্থলে না থেকেও কয়েক বছর ধরে বেতন উত্তোলন কর্মচারীর

চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসের অধিনে পটিয়া শ্রীমাই বিটের বোটম্যান (নৌকা চালক) মো. আব্দুল হালিম নামের এক কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে বছরের পর বছর বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে অফিসের দায়িত্বরতদের বেতনের একটি অংশ দিয়ে চাকরি না করেও নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে গড়েছেন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। এছাড়া উক্ত কর্মচারী চাকরিতে যোগদানের সময় ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করা ও মাদক কারবারির সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ পটিয়া রেঞ্জের দায়িত্বরত বোটম্যান (নৌকা চালক) মো. হালিম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরি ফকির পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। বন বিভাগের নৌকা চালক মো. হালিমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাসান কামাল নামের এক ব্যক্তি রামদাশ মুন্সির হাটে চাঁদাবাজির ঘটনায় গত ১৯ মে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মচারী হালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেও রয়েছে। এ বিষয়ে মো. হালিম বলেন, অবৈধ কোন সম্পদ নাই বলে দাবি করে অবৈধ সম্পদ থেকে থাকলে কেউ প্রমাণ করতে পারলে তার কোন আপত্তি নেই, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতা তোলার প্রসঙ্গে বলেন, শ্রীমাই বন বিভাগের অফিসটি দূরত্ব হওয়ায় নিয়মিত আসা যাওয়া সমস্যা থাকায় কম যাওয়া হয় বলে স্বীকার করেন। তবে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার বিষয়ে তিনি উক্ত স্কুল থেকে অনেকে এ রকম জাল সনদ নিয়ে চাকরি করে আসছে বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা-মিজানুর রহমান বলেন, হালিম কর্মস্থলে না যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না, বিয়ষটি আমি জানার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, অফিসের লোকজনও তার ওপর সন্তুষ্ট না, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

পটিয়ায় বন বিভাগ

কর্মস্থলে না থেকেও কয়েক বছর ধরে বেতন উত্তোলন কর্মচারীর

নজরুল ইসলাম,পটিয়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসের অধিনে পটিয়া শ্রীমাই বিটের বোটম্যান (নৌকা চালক) মো. আব্দুল হালিম নামের এক কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে বছরের পর বছর বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে অফিসের দায়িত্বরতদের বেতনের একটি অংশ দিয়ে চাকরি না করেও নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে গড়েছেন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। এছাড়া উক্ত কর্মচারী চাকরিতে যোগদানের সময় ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করা ও মাদক কারবারির সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ পটিয়া রেঞ্জের দায়িত্বরত বোটম্যান (নৌকা চালক) মো. হালিম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরি ফকির পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। বন বিভাগের নৌকা চালক মো. হালিমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাসান কামাল নামের এক ব্যক্তি রামদাশ মুন্সির হাটে চাঁদাবাজির ঘটনায় গত ১৯ মে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মচারী হালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেও রয়েছে। এ বিষয়ে মো. হালিম বলেন, অবৈধ কোন সম্পদ নাই বলে দাবি করে অবৈধ সম্পদ থেকে থাকলে কেউ প্রমাণ করতে পারলে তার কোন আপত্তি নেই, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতা তোলার প্রসঙ্গে বলেন, শ্রীমাই বন বিভাগের অফিসটি দূরত্ব হওয়ায় নিয়মিত আসা যাওয়া সমস্যা থাকায় কম যাওয়া হয় বলে স্বীকার করেন। তবে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার বিষয়ে তিনি উক্ত স্কুল থেকে অনেকে এ রকম জাল সনদ নিয়ে চাকরি করে আসছে বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা-মিজানুর রহমান বলেন, হালিম কর্মস্থলে না যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না, বিয়ষটি আমি জানার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, অফিসের লোকজনও তার ওপর সন্তুষ্ট না, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি।