বাজেটে ১৭ দফা প্রস্তাবনা ন্যাপের

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের জন্য প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অবসরভাতা ও বেকার যুবকদের জন্য বেকারভাতা চালুর লক্ষ্যে বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ ১৭ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ প্রস্তাবনা পেশ করেন। বিবৃতিতে সুপারিশগুলো গুরুত্ব দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।

সুপারিশগুলো হলোÑ ১. স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর খাতকে ভ্যাটের আওতামুক্ত করা, জনগণের সামর্থ্য এবং বাস্তবতার আলোকে কর নির্ধারণ করা।

২. বিদ্যুৎ-পানি- ভোজ্যতেলের মূল্য কমিয়ে জনগণের ওপর থেকে বাড়তি আর্থিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা।

৩. দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের লাগাম টেনে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিভাগীয় শহরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল তৈরি ও ক্যান্সারের ওষুধসহ ডায়বেটিস, হাইপ্রেসার, হার্ড, কিডনি ও লিভার এই পাঁচটি বড় রোগের ওষুধের মূল্য হ্রাস করতে হবে। ১৮ বছরের ওপর দেশের সব মানুষকে চলতি বছরের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।

৪. বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হলো কৃষি। এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে। কৃষিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা, সরকারের খাদ্য মজুদের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, বাজেটে সারের ভর্তুকি কমিয়ে কৃষকদের নগদে ভর্তুকি দেয়া, কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন করা, দুর্যোগকালীন কৃষি বাজার ও মূল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বহু-মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কর ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আজীবন পেনশন বা বিশেষ প্রণোদনা বিষয়টি বিবেচনা করা। যাতে সরকারি চাকরির বাইরে যারা অন্য কোন জীবিকায় নিয়োজিত এবং নিয়মিত আয়কর দিয়ে থাকেন, ৬০-৬৫ বছরের পর জীবনের বাকি দিনগুলোর জন্য রাষ্ট্রের ওপর যেন ভরসা করতে পারেন। ভারত ও উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ সরকারকে দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সিনিয়র সিটিজেনদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয় বিবেচনা জন্য আসন্ন বাজেটেই কর্মসূচি নেয়া উচিত।

৬. দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বেকার ভাতার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

৭. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্র জনগণকে স্বচ্ছতার সঙ্গে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।

৮. ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সুদমুক্ত সহজ ঋণ বরাদ্দ দিতে হবে।

৯. ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং পোল্ট্রি, ফিশারিজসহ গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে।

১০. শিক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়ছি। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেটে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাসের হার বাড়ছে, ফলাফলও হয়তো ভালো হচ্ছে। কিন্তু কিছুই শিখছে না। শিক্ষকদের মান উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। শুধু এমপিওভুক্তি বাড়ালেই হবে না। শিক্ষার মানের দিকে নজর বাড়াতে হবে।

১১. ব্যবসা ও রপ্তানি বাণিজ্য করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের রপ্তানি খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-কারখানা, ব্যাংকিং সেক্টরের বিনিয়োগকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতিমুক্ত করা। এক্ষেত্রে ঋণ-সীমা পুনর্বিবেচনা করা। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ সততা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকরভাবে কাজে লাগানো।

১২. দেশ ও দেশের জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

১৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট বিশেষকরে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে।

১৪. সব ধরনের শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রকৃত শ্রমিকদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, কর্মহীন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে জামানত ছাড়া আইডি কার্ড ও ব্যক্তিগত গ্যারন্টি নিয়ে ২ বছরের মধ্যে পরিশোধের জন্য সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

১৫. করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত।

১৬. কালো টাকা সাদা করার নীতি বাতিল করে কালো টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ-সম্পদ ও বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

১৭. পরিবহন ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, বাড়িভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নীতি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সব স্তরে মধ্যস্বত্বভোগী ও বাজার সিন্ডিকেটগুলোর দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

বাজেটে ১৭ দফা প্রস্তাবনা ন্যাপের

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের জন্য প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অবসরভাতা ও বেকার যুবকদের জন্য বেকারভাতা চালুর লক্ষ্যে বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ ১৭ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ প্রস্তাবনা পেশ করেন। বিবৃতিতে সুপারিশগুলো গুরুত্ব দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।

সুপারিশগুলো হলোÑ ১. স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর খাতকে ভ্যাটের আওতামুক্ত করা, জনগণের সামর্থ্য এবং বাস্তবতার আলোকে কর নির্ধারণ করা।

২. বিদ্যুৎ-পানি- ভোজ্যতেলের মূল্য কমিয়ে জনগণের ওপর থেকে বাড়তি আর্থিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা।

৩. দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের লাগাম টেনে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিভাগীয় শহরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল তৈরি ও ক্যান্সারের ওষুধসহ ডায়বেটিস, হাইপ্রেসার, হার্ড, কিডনি ও লিভার এই পাঁচটি বড় রোগের ওষুধের মূল্য হ্রাস করতে হবে। ১৮ বছরের ওপর দেশের সব মানুষকে চলতি বছরের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।

৪. বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হলো কৃষি। এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে। কৃষিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা, সরকারের খাদ্য মজুদের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, বাজেটে সারের ভর্তুকি কমিয়ে কৃষকদের নগদে ভর্তুকি দেয়া, কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন করা, দুর্যোগকালীন কৃষি বাজার ও মূল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বহু-মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কর ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আজীবন পেনশন বা বিশেষ প্রণোদনা বিষয়টি বিবেচনা করা। যাতে সরকারি চাকরির বাইরে যারা অন্য কোন জীবিকায় নিয়োজিত এবং নিয়মিত আয়কর দিয়ে থাকেন, ৬০-৬৫ বছরের পর জীবনের বাকি দিনগুলোর জন্য রাষ্ট্রের ওপর যেন ভরসা করতে পারেন। ভারত ও উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ সরকারকে দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সিনিয়র সিটিজেনদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয় বিবেচনা জন্য আসন্ন বাজেটেই কর্মসূচি নেয়া উচিত।

৬. দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বেকার ভাতার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

৭. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্র জনগণকে স্বচ্ছতার সঙ্গে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।

৮. ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সুদমুক্ত সহজ ঋণ বরাদ্দ দিতে হবে।

৯. ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং পোল্ট্রি, ফিশারিজসহ গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে।

১০. শিক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়ছি। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেটে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাসের হার বাড়ছে, ফলাফলও হয়তো ভালো হচ্ছে। কিন্তু কিছুই শিখছে না। শিক্ষকদের মান উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। শুধু এমপিওভুক্তি বাড়ালেই হবে না। শিক্ষার মানের দিকে নজর বাড়াতে হবে।

১১. ব্যবসা ও রপ্তানি বাণিজ্য করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের রপ্তানি খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-কারখানা, ব্যাংকিং সেক্টরের বিনিয়োগকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতিমুক্ত করা। এক্ষেত্রে ঋণ-সীমা পুনর্বিবেচনা করা। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ সততা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকরভাবে কাজে লাগানো।

১২. দেশ ও দেশের জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

১৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট বিশেষকরে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে।

১৪. সব ধরনের শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রকৃত শ্রমিকদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, কর্মহীন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে জামানত ছাড়া আইডি কার্ড ও ব্যক্তিগত গ্যারন্টি নিয়ে ২ বছরের মধ্যে পরিশোধের জন্য সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

১৫. করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত।

১৬. কালো টাকা সাদা করার নীতি বাতিল করে কালো টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ-সম্পদ ও বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

১৭. পরিবহন ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, বাড়িভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নীতি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সব স্তরে মধ্যস্বত্বভোগী ও বাজার সিন্ডিকেটগুলোর দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।