হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন করেছে রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল না থাকার সুবিধা নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রাবি : বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়া, সংক্ষিপ্ত সময়ে সব বর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া, সেশন জট এড়াতে কার্যকর সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা, অবিলম্বে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
জাবি : স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন পালন করেন তারা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানান। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন যে হল নির্মাণ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ৪৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে শুধুমাত্র হতাশা থেকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় এটার বড় কারণ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং ক্যাম্পাস খোলার জন্য যে শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা।
জবি : হল না থাকার সুবিধা নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে চায় জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা সচল করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হবে শিক্ষার্থীরা। বিশ^বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেমন চাকরিতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে প্রথম বর্ষেও শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে। পড়াশোনার দীর্ঘ বিরতিতে মানসিক অবসাদে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক |
হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন করেছে রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল না থাকার সুবিধা নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রাবি : বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়া, সংক্ষিপ্ত সময়ে সব বর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া, সেশন জট এড়াতে কার্যকর সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা, অবিলম্বে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
জাবি : স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন পালন করেন তারা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানান। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন যে হল নির্মাণ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ৪৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে শুধুমাত্র হতাশা থেকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় এটার বড় কারণ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং ক্যাম্পাস খোলার জন্য যে শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা।
জবি : হল না থাকার সুবিধা নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে চায় জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা সচল করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হবে শিক্ষার্থীরা। বিশ^বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেমন চাকরিতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে প্রথম বর্ষেও শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে। পড়াশোনার দীর্ঘ বিরতিতে মানসিক অবসাদে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।