কোরবানির ঈদে এক কোটির বেশি গবাদি পশুর চাহিদা

দেশে ঈদুল আজহায় কোরবানি দেয়ার জন্য কমপক্ষে ৯৫ লাখ থেকে এক কোটির বেশি গবাদি পশুর দরকার। গবাদি পশুর এ চাহিদা দেশের উৎস থেকে পাওয়া গেলে ভারত বা বিদেশ থেকে কোরবানির পশু আনার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। তাই আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কোরবানি দেয়ার যোগ্য গবাদি পশুর প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। জেলা ও বিভাগ থেকে প্রকৃত সংখ্যা জানার পর বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আজিজুর রহমান গতকাল বিকেলে সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে দেশের সব জেলায় অধিদপ্তর থেকে কোরবানির পশুর সংখ্যা জানতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলা উপজেলায় কৃষকদের খামারে পালন করা গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ বিভিন্ন প্রজাতির পালন করা পশুর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। সব জেলা ও বিভাগীয় শহরের কোরবানির জন্য পালন করা পশুর সংখ্যা যদি এক কোটি ৫ লাখের বেশি হয়, তাহলে দেশের উৎস থেকে কোরবানি দেয়া সম্ভব হবে। আর কোরবানির ঈদের আগে দরকার হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত থেকে গরু আনতে না পারে তার জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশ থেকে গত বছর বহু বাংলাদেশি দেশে ফেরত এসেছেন। অনেকেই জমানো সব টাকা দিয়ে কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য পশুর খামার করছেন।

দেশে ছোট-বড় মিলে এক লাখের বেশি পশুর খামার আছে। এসব খামারে কৃষকরা প্রতিবছর কোরবানির পশু পালন করে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশু ডাক্তারা তা সর্বক্ষণ তদারকি ও চিকিৎসা গাইডলাইন দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে এক কোটির বেশি গবাদি পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে।

নওগাঁ ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া ও নওগাঁ এলাকায় অনেক খামারী গবাদী পশু পালন করছে। অনেকেই শুধু কোরবানীর ঈদের বিক্রির জন্য ৫ থেকে ৬টি গরু পালন করছে।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

কোরবানির ঈদে এক কোটির বেশি গবাদি পশুর চাহিদা

বাকী বিল্লাহ

দেশে ঈদুল আজহায় কোরবানি দেয়ার জন্য কমপক্ষে ৯৫ লাখ থেকে এক কোটির বেশি গবাদি পশুর দরকার। গবাদি পশুর এ চাহিদা দেশের উৎস থেকে পাওয়া গেলে ভারত বা বিদেশ থেকে কোরবানির পশু আনার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। তাই আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কোরবানি দেয়ার যোগ্য গবাদি পশুর প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। জেলা ও বিভাগ থেকে প্রকৃত সংখ্যা জানার পর বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আজিজুর রহমান গতকাল বিকেলে সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে দেশের সব জেলায় অধিদপ্তর থেকে কোরবানির পশুর সংখ্যা জানতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলা উপজেলায় কৃষকদের খামারে পালন করা গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ বিভিন্ন প্রজাতির পালন করা পশুর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। সব জেলা ও বিভাগীয় শহরের কোরবানির জন্য পালন করা পশুর সংখ্যা যদি এক কোটি ৫ লাখের বেশি হয়, তাহলে দেশের উৎস থেকে কোরবানি দেয়া সম্ভব হবে। আর কোরবানির ঈদের আগে দরকার হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত থেকে গরু আনতে না পারে তার জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশ থেকে গত বছর বহু বাংলাদেশি দেশে ফেরত এসেছেন। অনেকেই জমানো সব টাকা দিয়ে কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য পশুর খামার করছেন।

দেশে ছোট-বড় মিলে এক লাখের বেশি পশুর খামার আছে। এসব খামারে কৃষকরা প্রতিবছর কোরবানির পশু পালন করে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশু ডাক্তারা তা সর্বক্ষণ তদারকি ও চিকিৎসা গাইডলাইন দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে এক কোটির বেশি গবাদি পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে।

নওগাঁ ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া ও নওগাঁ এলাকায় অনেক খামারী গবাদী পশু পালন করছে। অনেকেই শুধু কোরবানীর ঈদের বিক্রির জন্য ৫ থেকে ৬টি গরু পালন করছে।