আফগানিস্তানে ফের বোমা হামলায় নিহত ১১

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে রাস্তায় পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের এদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে। এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। রয়টার্স

বাডগিস প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলের গভর্নর বলেন যাত্রীরা কালা-ই-নওয়া যাওয়ার পথে শক্তিশালী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। বোমাটি পেতে রাখার জন্য তারা তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন। তবে তালেবানসহ কোন জঙ্গি গোষ্ঠীই এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা সদস্যরা। পুরো এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতলে নেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে কাতারে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আফগানিস্তানে অবস্থানরত কূটনীতিক এবং বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থায় নিয়োজিত লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি জোরালো প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেছেন বলে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানভিত্তিক জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর কর্মীদের ও অন্যান্য কূটনীতিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে। কাতারে তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশে সরকারি বাহিনীগুলো ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অবিরত হামলার জন্য তালেবানকে অভিযুক্ত করেছেন আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি প্রদেশের সম্পূর্ণ ভূখ-গত নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা, যানবাহনের নিচে পেতে রাখা ছোট চুম্বুক বোমা ও অন্যান্য হামলাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।

সাধারণত দেশটির সরকার এসব হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করে, কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। চলতি বছরের শুর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮শ’ আফগান নাগরিক বিভিন্ন হামলায় হতাহত হয়েছে। তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মধ্যেই এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণা আসার পর থেকে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

image

রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমার আঘাতে মাইক্রোবাস বিস্ফোরণে প্রাণনাশের ঘটনা ঘটে -রয়টার্স

আরও খবর
বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র হামলা : নিহত ১৩৮
আটকের কয়েক ঘণ্টা পর মুক্ত আল-জাজিরার সাংবাদিক

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

আফগানিস্তানে ফের বোমা হামলায় নিহত ১১

image

রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমার আঘাতে মাইক্রোবাস বিস্ফোরণে প্রাণনাশের ঘটনা ঘটে -রয়টার্স

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে রাস্তায় পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের এদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে। এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। রয়টার্স

বাডগিস প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলের গভর্নর বলেন যাত্রীরা কালা-ই-নওয়া যাওয়ার পথে শক্তিশালী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। বোমাটি পেতে রাখার জন্য তারা তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন। তবে তালেবানসহ কোন জঙ্গি গোষ্ঠীই এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা সদস্যরা। পুরো এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতলে নেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে কাতারে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আফগানিস্তানে অবস্থানরত কূটনীতিক এবং বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থায় নিয়োজিত লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি জোরালো প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেছেন বলে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানভিত্তিক জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর কর্মীদের ও অন্যান্য কূটনীতিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে। কাতারে তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশে সরকারি বাহিনীগুলো ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অবিরত হামলার জন্য তালেবানকে অভিযুক্ত করেছেন আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি প্রদেশের সম্পূর্ণ ভূখ-গত নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা, যানবাহনের নিচে পেতে রাখা ছোট চুম্বুক বোমা ও অন্যান্য হামলাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।

সাধারণত দেশটির সরকার এসব হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করে, কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। চলতি বছরের শুর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮শ’ আফগান নাগরিক বিভিন্ন হামলায় হতাহত হয়েছে। তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মধ্যেই এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণা আসার পর থেকে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।