বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে ছাত্র জোটের সমাবেশ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আয়ের ওপর ১৫% করারোপ বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকাল বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের অন্য দাবিসমূহ হচ্ছে- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্তকরণ, টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুধু নোটিশ বোর্ডে সীমাবদ্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের ন্যূনতম কোন মাথাব্যথা নেই। শিক্ষা খাতকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই আমরা বলতে চাই নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা এসব অনিয়নের বিরুদ্ধে কথা বলবে। যার ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা বিভিন্নভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হচ্ছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ১৫% করারোপের মাধ্যমে তারা যে অবৈধ মুনাফা অর্জন করছে প্রকারান্তরে সেটিকে বৈধতা দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইল-ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ সরকার দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা করে যাচ্ছে। গতবছর যেখানে শিক্ষা খাতে জিডিপির ২.১১ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। এবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ২.০৮ শতাংশে। বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর যে ১৫% করারোপ করা হয়েছে এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যয় আরও বেড়ে যাবে। পক্ষান্তরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই এই কর আদায় করা হবে। সমাবেশ পরবর্তীতে একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

image

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবিতে গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র জোটের সমাবেশ -সংবাদ

আরও খবর
ঢাকায় আগাখান, সিলেটে হাবিবুর, কুমিল্লায় হাসেম আ’লীগের প্রার্থী
এবারও হজে যেতে পারছেন না বাংলাদেশিরা
বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেতে ষড়যন্ত্র করছে : কাদের
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক দেনা ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে
ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা এক সপ্তাহ
১২ দিনেও খুনি শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ
জিয়াই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম নায়ক, বললেন মির্জা ফখরুল
শ্রমিক-আনসার, পুলিশ সংঘর্ষ : আহত ২০
বিরোধীদের তোপের মুখে আসামের মুখ্যমন্ত্রী
মুমূর্ষু মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে ফি বেশি নেয়ার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে চার শিশুর ভূমিকার জন্য সংবর্ধনা

রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে ছাত্র জোটের সমাবেশ

খালেদ মাহমুদ, ঢাবি

image

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবিতে গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র জোটের সমাবেশ -সংবাদ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আয়ের ওপর ১৫% করারোপ বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকাল বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের অন্য দাবিসমূহ হচ্ছে- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্তকরণ, টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুধু নোটিশ বোর্ডে সীমাবদ্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের ন্যূনতম কোন মাথাব্যথা নেই। শিক্ষা খাতকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই আমরা বলতে চাই নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা এসব অনিয়নের বিরুদ্ধে কথা বলবে। যার ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা বিভিন্নভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হচ্ছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ১৫% করারোপের মাধ্যমে তারা যে অবৈধ মুনাফা অর্জন করছে প্রকারান্তরে সেটিকে বৈধতা দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইল-ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ সরকার দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা করে যাচ্ছে। গতবছর যেখানে শিক্ষা খাতে জিডিপির ২.১১ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। এবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ২.০৮ শতাংশে। বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর যে ১৫% করারোপ করা হয়েছে এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যয় আরও বেড়ে যাবে। পক্ষান্তরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই এই কর আদায় করা হবে। সমাবেশ পরবর্তীতে একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।