প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী সামলাতে হিমশিম ১১ ডাক্তার

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকেই ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। তার পরেও বাড়েনি এর জনবল, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ। এছাড়াও এক্সরে যন্ত্র দীর্ঘদিন নষ্ট, নেই সিটিস্ক্যান যন্ত্র।

ফরিদপুর শহরের শহর ও শহরতলীর মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা লক্ষ্য নিয়ে ১৯১৭ সালের প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০০।

ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গণেষ কুমার আগারাওলা জানান, প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে রোগী আসছে ৪০০ থেকে ৫০০। আমাদের চিকিৎসক রয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে দুজন জেলা কারাগাড়ের প্রেষণে রয়েছে।

সম্প্রতি মহামারি করোনার দুর্যোগে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫১৭ শয্যার মধ্যে ৩৬৫ বেডকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষার পর থেকে রোগীর চাপ সৃষ্টি হয় জেনারেল হাসপাতালে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী বলেন, করোনার এই সময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জনবল সামর্থ্য মতো সরবরাহ করতে হবে। তা না হলে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, এই হাসপাতালটি বর্তমানে ১০০ শয্যার, এখানে সিনিয়র জুনিয়র মিলে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৭টি। বর্তমানে কর্মরত আছে ১৩ জন। আর এর বিপরীতে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১২ জন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী। এই চাপ সামলাতে বেড় পেতে হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন ব্যক্তিকে অবহিত করেছি এবং প্রয়োজনীয় জনবল চাওয়া হয়েছে। তার পরে সার্ধমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবা নিশ্চিত করতে।

শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৮ ২৮ জিলক্বদ ১৪৪২

প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী সামলাতে হিমশিম ১১ ডাক্তার

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকেই ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। তার পরেও বাড়েনি এর জনবল, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ। এছাড়াও এক্সরে যন্ত্র দীর্ঘদিন নষ্ট, নেই সিটিস্ক্যান যন্ত্র।

ফরিদপুর শহরের শহর ও শহরতলীর মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা লক্ষ্য নিয়ে ১৯১৭ সালের প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০০।

ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গণেষ কুমার আগারাওলা জানান, প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে রোগী আসছে ৪০০ থেকে ৫০০। আমাদের চিকিৎসক রয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে দুজন জেলা কারাগাড়ের প্রেষণে রয়েছে।

সম্প্রতি মহামারি করোনার দুর্যোগে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫১৭ শয্যার মধ্যে ৩৬৫ বেডকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষার পর থেকে রোগীর চাপ সৃষ্টি হয় জেনারেল হাসপাতালে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী বলেন, করোনার এই সময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জনবল সামর্থ্য মতো সরবরাহ করতে হবে। তা না হলে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, এই হাসপাতালটি বর্তমানে ১০০ শয্যার, এখানে সিনিয়র জুনিয়র মিলে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৭টি। বর্তমানে কর্মরত আছে ১৩ জন। আর এর বিপরীতে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১২ জন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী। এই চাপ সামলাতে বেড় পেতে হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন ব্যক্তিকে অবহিত করেছি এবং প্রয়োজনীয় জনবল চাওয়া হয়েছে। তার পরে সার্ধমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবা নিশ্চিত করতে।