রোগী নিয়ে হিমশিম কুষ্টিয়া হাসপাতাল হাত বাড়াল ডায়াবেটিক সমিতি

বৈশ্বিক করোনায় কুষ্টিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি খুবই নাজুক। প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে করোনা রোগীদের বেডে জায়গা নেই। এখন হাসপাতালের করিডোর ও বারান্দায় রোগীদের রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষনার পর থেকেই করোনাকালীন কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল তাদের ২৫ বেডের হাসপাতালটি বিভিন্ন রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দারুণ মানবিকতা উদারতার উদাহরন সৃষ্টি করেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীরা সেখানে স্বাভাবিক চিকিৎসা গ্রহন করছেন। রোগীর চাপে ২৫বেডের হাসপাতালটির বেড় সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোরে সেবার পুরুষ ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুমন রহমান জানান, ডায়াবেটিক হাসপাতালের দুটি কক্ষে পুরুষ ও নারীদের বহিঃর্বিভাগ সেবা দেয়া হচ্ছে। এখানেই সরকারিভাবে টিকিট কেটে জেলার সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্রসেবা নিতে পারবে। তবে ওষুধসেবা আপাতত বন্ধ আছে।

করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম পোহাচ্ছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। করোনা রোগীর চাপ এতটায় তীব্র এই হাসপাতালে করোনা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে পুরো হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আগত অনান্য রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরের রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে। সেই সঙ্গে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের ওয়ার্ডের রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ডায়ানেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু জানান, চিকিৎসা সেবা দিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরাও সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তিনি জানান, করোনাকালীন জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জেলার রোগীদের সেবা প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত। করোনাকালীন যত দিন এই সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান- আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব করোনাকালীন সরকারকে সহযোগিতা করা। সরকারের একার পক্ষে বৈশি^ক মহামারী সামাল দেয়া সম্ভব নয় তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহযোগিতার হাত প্রসার করতে হবে।

উল্লেখ্য কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতাল ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত নিবন্ধিত একটি সামাজিক, অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সঙ্গে সেবা প্রদান করে এ অঞ্চলের একটি অন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ , ৮ শ্রাবন ১৪২৮ ১২ জিলহজ ১৪৪২

রোগী নিয়ে হিমশিম কুষ্টিয়া হাসপাতাল হাত বাড়াল ডায়াবেটিক সমিতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

image

বৈশ্বিক করোনায় কুষ্টিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি খুবই নাজুক। প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে করোনা রোগীদের বেডে জায়গা নেই। এখন হাসপাতালের করিডোর ও বারান্দায় রোগীদের রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষনার পর থেকেই করোনাকালীন কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল তাদের ২৫ বেডের হাসপাতালটি বিভিন্ন রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দারুণ মানবিকতা উদারতার উদাহরন সৃষ্টি করেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীরা সেখানে স্বাভাবিক চিকিৎসা গ্রহন করছেন। রোগীর চাপে ২৫বেডের হাসপাতালটির বেড় সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোরে সেবার পুরুষ ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুমন রহমান জানান, ডায়াবেটিক হাসপাতালের দুটি কক্ষে পুরুষ ও নারীদের বহিঃর্বিভাগ সেবা দেয়া হচ্ছে। এখানেই সরকারিভাবে টিকিট কেটে জেলার সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্রসেবা নিতে পারবে। তবে ওষুধসেবা আপাতত বন্ধ আছে।

করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম পোহাচ্ছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। করোনা রোগীর চাপ এতটায় তীব্র এই হাসপাতালে করোনা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে পুরো হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আগত অনান্য রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরের রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে। সেই সঙ্গে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের ওয়ার্ডের রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ডায়ানেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু জানান, চিকিৎসা সেবা দিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরাও সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তিনি জানান, করোনাকালীন জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জেলার রোগীদের সেবা প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত। করোনাকালীন যত দিন এই সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান- আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব করোনাকালীন সরকারকে সহযোগিতা করা। সরকারের একার পক্ষে বৈশি^ক মহামারী সামাল দেয়া সম্ভব নয় তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহযোগিতার হাত প্রসার করতে হবে।

উল্লেখ্য কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতাল ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত নিবন্ধিত একটি সামাজিক, অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সঙ্গে সেবা প্রদান করে এ অঞ্চলের একটি অন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।