ওসি মোয়াজ্জেম লাপাত্তা

পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির

ওসিকে শাস্তি পেতেই হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন এখনও গ্রেফতার এড়িয়ে থাকায় নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা তদন্তে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে টিআইবি। গতকাল এক বিবৃতিতে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসির পালিয়ে যাওয়ার খবর আইনের শাসনের জন্য অশনিসংকেত। ওসি মোয়াজ্জেমকে পুলিশ গ্রেফতার না করে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেছে টিআইবি। এদিকে গতকাল সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত হোক তাকেই শাস্তি পেতে হবে। সে ওসি হোক কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হোক আর জনপ্রতিনিধি হোক। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার জন্য ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন যতটুকু অপরাধ করেছে, এর জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এই খবরে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জেনেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসির বিরুদ্ধে গত ২৭ মে পরোয়ানা জারির পর তা ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয় হয়ে রংপুর রেঞ্জে পৌঁছাতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি। এই সুযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেলেন বলা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে যেখানে গ্রেফতার পরোয়ানা ছাড়া আটক করাই স্বাভাবিক, সেখানে বহুল আলোচিত একটি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বপালনে এ ধরনের দৃশ্যমান ব্যর্থতার ফলে যৌক্তিকভাবেই নুসরাত হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে পুলিশের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নুসরাত হত্যা মামলায় শুরু থেকে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবি বলেছে, নুসরাত হত্যাকা-কে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এবং হত্যাকারীদের সুরক্ষা প্রদানে যোগসাজশের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও অভিযোগপত্রে ওসি মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি দেয়ার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ রয়েছে কি না, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হওয়ায় তাকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে কি না, আমরা সেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। এখন তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে আমাদের সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হলো। ঘটনাপ্রবাহ থেকে তাকে কার্যত পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা গভীরতম উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমন অবস্থায় পুলিশ বাহিনীর কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ভূলুণ্ঠিত হবে। তাই ওসি মোয়াজ্জেমকে দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি নুসরাতের নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিকল্প নেই।

এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চার্জশিটে তার নামও এসেছে। পালিয়ে গেলে খুঁজে পেতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে লুকোচুরির পর এখন পুলিশ বলছে, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেছেন। ফেনী ও রংপুর দুই জায়গার পুলিশই গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে এসেছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরোয়ানাটি সোনাগাজী থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। রংপুরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক কাজ করার জন্য তিনি ফেনীর পুলিশকে জানাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। এর দুদিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর ১০ দিন আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার ওই সময়ে দায়িত্বপালনকারী ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন, তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুদিন পর ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ১১ জুন।

সোমবার, ১০ জুন ২০১৯ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৬ শাওয়াল ১৪৪০

ওসি মোয়াজ্জেম লাপাত্তা

পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির

ওসিকে শাস্তি পেতেই হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন এখনও গ্রেফতার এড়িয়ে থাকায় নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা তদন্তে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে টিআইবি। গতকাল এক বিবৃতিতে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসির পালিয়ে যাওয়ার খবর আইনের শাসনের জন্য অশনিসংকেত। ওসি মোয়াজ্জেমকে পুলিশ গ্রেফতার না করে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেছে টিআইবি। এদিকে গতকাল সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত হোক তাকেই শাস্তি পেতে হবে। সে ওসি হোক কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হোক আর জনপ্রতিনিধি হোক। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার জন্য ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন যতটুকু অপরাধ করেছে, এর জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এই খবরে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জেনেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসির বিরুদ্ধে গত ২৭ মে পরোয়ানা জারির পর তা ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয় হয়ে রংপুর রেঞ্জে পৌঁছাতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি। এই সুযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেলেন বলা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে যেখানে গ্রেফতার পরোয়ানা ছাড়া আটক করাই স্বাভাবিক, সেখানে বহুল আলোচিত একটি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বপালনে এ ধরনের দৃশ্যমান ব্যর্থতার ফলে যৌক্তিকভাবেই নুসরাত হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে পুলিশের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নুসরাত হত্যা মামলায় শুরু থেকে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবি বলেছে, নুসরাত হত্যাকা-কে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এবং হত্যাকারীদের সুরক্ষা প্রদানে যোগসাজশের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও অভিযোগপত্রে ওসি মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি দেয়ার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ রয়েছে কি না, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হওয়ায় তাকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে কি না, আমরা সেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। এখন তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে আমাদের সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হলো। ঘটনাপ্রবাহ থেকে তাকে কার্যত পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা গভীরতম উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমন অবস্থায় পুলিশ বাহিনীর কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ভূলুণ্ঠিত হবে। তাই ওসি মোয়াজ্জেমকে দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি নুসরাতের নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিকল্প নেই।

এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চার্জশিটে তার নামও এসেছে। পালিয়ে গেলে খুঁজে পেতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে লুকোচুরির পর এখন পুলিশ বলছে, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেছেন। ফেনী ও রংপুর দুই জায়গার পুলিশই গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে এসেছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরোয়ানাটি সোনাগাজী থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। রংপুরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক কাজ করার জন্য তিনি ফেনীর পুলিশকে জানাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। এর দুদিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর ১০ দিন আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার ওই সময়ে দায়িত্বপালনকারী ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন, তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুদিন পর ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ১১ জুন।