চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থবার তিনশ’ ছাড়ানো স্কোর করল ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, এই আসরে নিজেদের গড়া সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডও ভাঙলো তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৬ রান করেছিল স্বাগতিকরা। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা করলো ৩৯৭ রান, ৬ উইকেট হারিয়ে।
গতকাল ম্যানচেস্টারে টস জিতে নির্দ্বিধায় ব্যাটিং করতে নামে ইংল্যান্ড। সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার জেমস ভিন্স ও জনি বেয়ারস্টো। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৪৪ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন দৌলত জাদরান। মুজিব উর রহমানের ক্যাচ হন ভিন্স (২৬)।
এরপর বেয়ারস্টো ও জো রুটের বড় জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। মাত্র ১০ রানের জন্য এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পাননি বেয়ারস্টো। ৯৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। ভাঙে ১২০ রানের শক্ত জুটি।
রুট আরও একটি শক্ত জুটি গড়তে সহায়তা করেন, এবার তার সঙ্গী ছিলেন অধিনায়ক এউইন মরগান। অবশ্য সেঞ্চুরির বেশ কাছে গিয়ে ফিরে আসেন রুটও। তাকে ফিরিয়ে ১৮৯ রানের জুটি ভাঙেন নাইব। আফগান অধিনায়কের বলে রহমত শাহকে ক্যাচ দেন তিনি ৮৮ রান করে।
ওই ওভারেই মরগানকে দেড়শ ছুঁতে দেননি নাইব। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করে ফিরে যান। ৫৭ বলে ৩ চার ও ১১ ছয়ে ১৩তম শতক পাওয়া মরগান আউট হন ১৪৮ রান করে। মাত্র ৭১ বলে ৪টি চার ও ১৭টি ছয় মেরে এই রান করেন তিনি।
দৌলত তার পরের দুই ওভারে জস বাটলার (২) ও বেন স্টোকসকে (২) ফেরালেও মঈন আলীর ৯ বলে ৩১ রানের ঝড়ে প্রায় চারশ’ রান করে ইংল্যান্ড। ১টি চার ও ৪টি ছয় মারেন তিনি। আফগানিস্তানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন দৌলত ও নাইব। আফগান দলের চ্যাম্পিয়ন স্পিনার রশিদ খানের ৯ ওভারে রান হয় ১১০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬ (ভিন্স ২৬, বেয়ারস্টো ৯০, রুট ৮৮, মরগান ১৪৮, বাটলার ২, স্টোকস ২, মঈন ৩১*, ওকস ১*; মুজিব ১০-০-৪৪-০, দৌলত ১০-০-৮৫-৩, নবি ৯-০-৭০-০, নাইব ১০-০-৬৮-৩, রহমত ২-০-১৯-০, রশিদ খান ৯-০-১১০-০)। ওয়েবসাইট।
বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থবার তিনশ’ ছাড়ানো স্কোর করল ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, এই আসরে নিজেদের গড়া সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডও ভাঙলো তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৬ রান করেছিল স্বাগতিকরা। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা করলো ৩৯৭ রান, ৬ উইকেট হারিয়ে।
গতকাল ম্যানচেস্টারে টস জিতে নির্দ্বিধায় ব্যাটিং করতে নামে ইংল্যান্ড। সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার জেমস ভিন্স ও জনি বেয়ারস্টো। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৪৪ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন দৌলত জাদরান। মুজিব উর রহমানের ক্যাচ হন ভিন্স (২৬)।
এরপর বেয়ারস্টো ও জো রুটের বড় জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। মাত্র ১০ রানের জন্য এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পাননি বেয়ারস্টো। ৯৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। ভাঙে ১২০ রানের শক্ত জুটি।
রুট আরও একটি শক্ত জুটি গড়তে সহায়তা করেন, এবার তার সঙ্গী ছিলেন অধিনায়ক এউইন মরগান। অবশ্য সেঞ্চুরির বেশ কাছে গিয়ে ফিরে আসেন রুটও। তাকে ফিরিয়ে ১৮৯ রানের জুটি ভাঙেন নাইব। আফগান অধিনায়কের বলে রহমত শাহকে ক্যাচ দেন তিনি ৮৮ রান করে।
ওই ওভারেই মরগানকে দেড়শ ছুঁতে দেননি নাইব। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করে ফিরে যান। ৫৭ বলে ৩ চার ও ১১ ছয়ে ১৩তম শতক পাওয়া মরগান আউট হন ১৪৮ রান করে। মাত্র ৭১ বলে ৪টি চার ও ১৭টি ছয় মেরে এই রান করেন তিনি।
দৌলত তার পরের দুই ওভারে জস বাটলার (২) ও বেন স্টোকসকে (২) ফেরালেও মঈন আলীর ৯ বলে ৩১ রানের ঝড়ে প্রায় চারশ’ রান করে ইংল্যান্ড। ১টি চার ও ৪টি ছয় মারেন তিনি। আফগানিস্তানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন দৌলত ও নাইব। আফগান দলের চ্যাম্পিয়ন স্পিনার রশিদ খানের ৯ ওভারে রান হয় ১১০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬ (ভিন্স ২৬, বেয়ারস্টো ৯০, রুট ৮৮, মরগান ১৪৮, বাটলার ২, স্টোকস ২, মঈন ৩১*, ওকস ১*; মুজিব ১০-০-৪৪-০, দৌলত ১০-০-৮৫-৩, নবি ৯-০-৭০-০, নাইব ১০-০-৬৮-৩, রহমত ২-০-১৯-০, রশিদ খান ৯-০-১১০-০)। ওয়েবসাইট।