অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লারে সফল বিদেশ ফেরত আলী

  • অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত মুরগির ওজন বাড়ে
  • প্রতি হাজারে মুরগিতে সাশ্রয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা

নরসিংদীর রায়পুরায় অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা পেয়েছেন আলী আশরাফ নামে এক খামারি। তার এ সফলতা দেখে অন্য খামারিরাও উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন এ পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগি পালনে।

জানা যায়, উপজেলার জাহাঙ্গার নগর গ্রামের আলী আশরাফ দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন। ফিরে সংসার চালানোর চিন্তায় হতাশায় ভোগছিলেন। হতাশা থেকে মুক্ত পাওয়ার আশায় শুরু করলেন ব্রয়লার মুরগি পালন। এ ব্রয়লার মুরগি পালনে ও আর্থিকভাবে তেমন সুবিধা করতে না পেরে যোগাযোগ করলেন উপজেলা প্রাণী সম্পাদ দপ্তরে। অংশগ্রহণ করলেন প্রাণিজ আমিষ নিরাপদ ও অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালন শীর্ষক এক দিনের কর্মশালায়। পরে আগ্রহী হলেন এন্টিবায়োটিক মুক্ত মুরগি পালনে।খামারী আল আশরাফ জানান, এন্টিবায়োটিক মুক্ত মুরগি পালনে মুরগির ওজন হয় বেশি। এ ছাড়াও প্রতি হাজারে খরচ কম হয় বলে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তার আয় হয়ে বেশি। তার এ পদ্ধতিতে মুরগি পালনে গ্রামের অনেকে এখন এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেরিয়ানারি সার্জেন্ট ডা. জুনায়েদ বিন ইবনে হামিদ নাঈম বলেন, আলী আশরাফ এক দিনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা এনেছে। ফলে সে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। তাকে অনুসরণ করে এলাকায় অনেকে এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালন করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই এন্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারিদের আমরা উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ও এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লারে সফল বিদেশ ফেরত আলী

সাধন দাস, রায়পুরা (নরসিংদী)

image

  • অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত মুরগির ওজন বাড়ে
  • প্রতি হাজারে মুরগিতে সাশ্রয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা

নরসিংদীর রায়পুরায় অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা পেয়েছেন আলী আশরাফ নামে এক খামারি। তার এ সফলতা দেখে অন্য খামারিরাও উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন এ পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগি পালনে।

জানা যায়, উপজেলার জাহাঙ্গার নগর গ্রামের আলী আশরাফ দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন। ফিরে সংসার চালানোর চিন্তায় হতাশায় ভোগছিলেন। হতাশা থেকে মুক্ত পাওয়ার আশায় শুরু করলেন ব্রয়লার মুরগি পালন। এ ব্রয়লার মুরগি পালনে ও আর্থিকভাবে তেমন সুবিধা করতে না পেরে যোগাযোগ করলেন উপজেলা প্রাণী সম্পাদ দপ্তরে। অংশগ্রহণ করলেন প্রাণিজ আমিষ নিরাপদ ও অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালন শীর্ষক এক দিনের কর্মশালায়। পরে আগ্রহী হলেন এন্টিবায়োটিক মুক্ত মুরগি পালনে।খামারী আল আশরাফ জানান, এন্টিবায়োটিক মুক্ত মুরগি পালনে মুরগির ওজন হয় বেশি। এ ছাড়াও প্রতি হাজারে খরচ কম হয় বলে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তার আয় হয়ে বেশি। তার এ পদ্ধতিতে মুরগি পালনে গ্রামের অনেকে এখন এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেরিয়ানারি সার্জেন্ট ডা. জুনায়েদ বিন ইবনে হামিদ নাঈম বলেন, আলী আশরাফ এক দিনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা এনেছে। ফলে সে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। তাকে অনুসরণ করে এলাকায় অনেকে এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালন করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই এন্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারিদের আমরা উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ও এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।