একশ’ টাকা বিবাদে ছাত্রলীগ নেতা খুন : ধৃত ১

নিখোঁজের দুদিন পর উদ্ধার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা শুভংকরের হত্যাকারী তার বন্ধু সাইফুল ইসলামকে (২১) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুভংকরকে মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলাম তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সাইফুল শুভংকর দুজনে বাল্যবন্ধু ছিল।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাইফুল ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার সময় বাউফল উপজেলার মিলঘর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মইনুল হাসান প্রেসব্রিফিং করে আসামি গ্রেফতারসহ কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান মইনুল হাসান জানান, ১শ’ টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২২ জুন সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বাল্যবন্ধু শুভঙ্কর হালদারের সাথে বাকবিতন্ডা এবং চরথাপ্পরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে ২৩ জুন সাইফুল তার পিতা বারেক হাওলাদারে ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে শুভঙ্করকে সন্ধ্যায় দেখা করতে আসতে বলে। সন্ধ্যায় ছোলাবুনিয়া বাজারে একত্রিত হয়। এক পর্যায় সাইফুল শুভঙ্করকে নিয়ে আশুরিয়া বাজার থেকে দক্ষিনদিকে গোলাবাড়ি এলাকায় জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় সাইফুল শুভঙ্করকে কৌশলে গাঁজা সেবন করায়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শুভঙ্করের প্রকৃতির ডাকে নির্জনে গেলে সাইফুল পিছন থেকে লাথি মেরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে শুভঙ্করের পিঠের ওপর উঠে দাবিয়ে রাখে। এক পর্যায় সাইফুলের ব্যবহৃত রুমাল দিয়ে শুভঙ্করকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় শুভঙ্করের মৃত্যু নিশ্চিৎ করে সাইফুল তার কোমরের বেল্ট দিয়ে শুভঙ্করের গলায় বেঁধে পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় শুভঙ্করের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল গলাচিপা থানার লামনা গ্রামে সাইফুলের খালু রহিম মোল্লার বাড়িতে রেখে আসে। পরে তা পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার দুই দিন পরে ২৬ জুন স্থানীয়রা শুভঙ্করের মৃতদেহ আদাবাড়ীযার একটি খাল থেকে উদ্ধার করে। ও দিনই শুভঙ্করের বাবা সত্য রঞ্জন হাওলাদার অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

একশ’ টাকা বিবাদে ছাত্রলীগ নেতা খুন : ধৃত ১

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

নিখোঁজের দুদিন পর উদ্ধার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা শুভংকরের হত্যাকারী তার বন্ধু সাইফুল ইসলামকে (২১) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুভংকরকে মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলাম তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সাইফুল শুভংকর দুজনে বাল্যবন্ধু ছিল।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাইফুল ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার সময় বাউফল উপজেলার মিলঘর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মইনুল হাসান প্রেসব্রিফিং করে আসামি গ্রেফতারসহ কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান মইনুল হাসান জানান, ১শ’ টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২২ জুন সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বাল্যবন্ধু শুভঙ্কর হালদারের সাথে বাকবিতন্ডা এবং চরথাপ্পরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে ২৩ জুন সাইফুল তার পিতা বারেক হাওলাদারে ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে শুভঙ্করকে সন্ধ্যায় দেখা করতে আসতে বলে। সন্ধ্যায় ছোলাবুনিয়া বাজারে একত্রিত হয়। এক পর্যায় সাইফুল শুভঙ্করকে নিয়ে আশুরিয়া বাজার থেকে দক্ষিনদিকে গোলাবাড়ি এলাকায় জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় সাইফুল শুভঙ্করকে কৌশলে গাঁজা সেবন করায়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শুভঙ্করের প্রকৃতির ডাকে নির্জনে গেলে সাইফুল পিছন থেকে লাথি মেরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে শুভঙ্করের পিঠের ওপর উঠে দাবিয়ে রাখে। এক পর্যায় সাইফুলের ব্যবহৃত রুমাল দিয়ে শুভঙ্করকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় শুভঙ্করের মৃত্যু নিশ্চিৎ করে সাইফুল তার কোমরের বেল্ট দিয়ে শুভঙ্করের গলায় বেঁধে পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় শুভঙ্করের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল গলাচিপা থানার লামনা গ্রামে সাইফুলের খালু রহিম মোল্লার বাড়িতে রেখে আসে। পরে তা পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার দুই দিন পরে ২৬ জুন স্থানীয়রা শুভঙ্করের মৃতদেহ আদাবাড়ীযার একটি খাল থেকে উদ্ধার করে। ও দিনই শুভঙ্করের বাবা সত্য রঞ্জন হাওলাদার অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।