কৃষিবিষয়ক তথ্য দ্রুত কৃষকদের পৌঁছানোর তাগিদ কৃষি সচিবের

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, কৃষিবিষয়ক যেকোন ধরনের তথ্য কৃষকদের দ্রুত পৌঁছাতে হবে। তাহলে কৃষক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। গত শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর থ্রিডি হলে ‘প্রকল্পের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি (বামিস) পোর্টাল উদ্বোধন’ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প’ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কৃষি সচিব বলেন, বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসে আগাম সতর্কীকরণ বার্তাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষির তথ্য দিয়ে কৃষকদের আপডেট করতে হবে। কৃষক সচেতন হবে এবং তারা ক্ষতির মধ্যে পড়বে না।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ১৯৬০ সাল হতে শুরু করে ১৯৭০, ১৯৮৬, ১৯৯১, ২০০৭, ২০০৯ সালসহ এখন প্রায় প্রতি বছরই কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশে আঘাত হানছে। দিন দিন আবহাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ছে। এ ধরনের পরিবর্তনে আমাদের কৃষি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কৃষি পরামর্শ সেবা পৌঁছাতে পারলে টেকসই কৃষি উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০

কৃষিবিষয়ক তথ্য দ্রুত কৃষকদের পৌঁছানোর তাগিদ কৃষি সচিবের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, কৃষিবিষয়ক যেকোন ধরনের তথ্য কৃষকদের দ্রুত পৌঁছাতে হবে। তাহলে কৃষক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। গত শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর থ্রিডি হলে ‘প্রকল্পের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি (বামিস) পোর্টাল উদ্বোধন’ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প’ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কৃষি সচিব বলেন, বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসে আগাম সতর্কীকরণ বার্তাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষির তথ্য দিয়ে কৃষকদের আপডেট করতে হবে। কৃষক সচেতন হবে এবং তারা ক্ষতির মধ্যে পড়বে না।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ১৯৬০ সাল হতে শুরু করে ১৯৭০, ১৯৮৬, ১৯৯১, ২০০৭, ২০০৯ সালসহ এখন প্রায় প্রতি বছরই কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশে আঘাত হানছে। দিন দিন আবহাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ছে। এ ধরনের পরিবর্তনে আমাদের কৃষি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কৃষি পরামর্শ সেবা পৌঁছাতে পারলে টেকসই কৃষি উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।