আদাবরে মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীর আদাবরে একটি মামলার বাদী মোহাম্মদ জুয়েলকে (৩০) আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালাতেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে।

আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদাবরের ১০ নম্বর সড়কে ওই হত্যাকা- ঘটে।

মাস তিনেক আগে হামলার অভিযোগ এনে জুয়েল যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তারাই তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবার ও পুলিশের ভাষ্য।

জুয়েলের ছোট ভাই শাহিন বলেন, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মিজান, খোকনসহ বেশ কয়েকজন মাস তিনেক আগে তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। ওই ঘটনায় মামলা করার পর মিজানরা নানাভাবে আমার ভাইকে হুমকি দিচ্ছিল। সর্বশেষ পুলিশ খোকনকে গ্রেফতার করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরেই তারা গত রাতে আমার ভাইকে খুন করেছে। তিনি জানান, রাতে বাসায় ফেরার সময় আদাবর ১০ নম্বর সড়কে হামলার শিকার হন জুয়েল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে অন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মিজান স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা ছিল।

পরিদর্শক শাহিনুর বলেন, মিজানের লোকজন মারধর করায় জুয়েল মামলা করেছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতেই জুয়েলকে তারা হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য জুয়েলের মৃতদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০

আদাবরে মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর আদাবরে একটি মামলার বাদী মোহাম্মদ জুয়েলকে (৩০) আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালাতেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে।

আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদাবরের ১০ নম্বর সড়কে ওই হত্যাকা- ঘটে।

মাস তিনেক আগে হামলার অভিযোগ এনে জুয়েল যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তারাই তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবার ও পুলিশের ভাষ্য।

জুয়েলের ছোট ভাই শাহিন বলেন, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মিজান, খোকনসহ বেশ কয়েকজন মাস তিনেক আগে তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। ওই ঘটনায় মামলা করার পর মিজানরা নানাভাবে আমার ভাইকে হুমকি দিচ্ছিল। সর্বশেষ পুলিশ খোকনকে গ্রেফতার করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরেই তারা গত রাতে আমার ভাইকে খুন করেছে। তিনি জানান, রাতে বাসায় ফেরার সময় আদাবর ১০ নম্বর সড়কে হামলার শিকার হন জুয়েল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে অন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মিজান স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা ছিল।

পরিদর্শক শাহিনুর বলেন, মিজানের লোকজন মারধর করায় জুয়েল মামলা করেছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতেই জুয়েলকে তারা হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য জুয়েলের মৃতদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।