সংঘবদ্ধ ‘গ্যাং’ ঠেকাতে সেনাবাহিনী নামাল দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দরনগরী কেপ টাউনের সংঘবদ্ধ সহিংসতা রুখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশের পাশপাশি তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশমন্ত্রী বেকি চেলে। শহরের সহিংসতা কবলিত একটি অংশে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

কেপ টাউনে সংঘবদ্ধ সহিংসতার সমস্যা কয়েক দশকের পুরনো। প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিশোধমূলক হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। সহিংসতার কারণে শহরের বন্তেহুয়েল, ডেলফ, হ্যানোভার পার্ক, ফিলিপ্পি ইস্ট অঞ্চলে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে সেখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলো। দেশটির পুলিশমন্ত্রী বেকি চেলে জানিয়েছেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসামান্য পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক বাড়ি যাব। সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করব। যেসব অপরাধী আমরা খুঁজছি তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করব। জামিনে থাকা সব মারাত্মক অপরাধীকেও আটক করা হবে। আর এসব কিছুই শুক্রবার বেলা ২টা থেকে শুরু হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ২৪ রিপোর্টসকে বেকি চেলে বলেন, সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে থাকবে পুলিশ। গত মে মাসে নির্বাচনের সময়েও একইভাবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। আপাতত তিন মাসের জন্য এই সেনা মোতায়েন করা হলেও পরে তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানান পুলিশমন্ত্রী।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

সংঘবদ্ধ ‘গ্যাং’ ঠেকাতে সেনাবাহিনী নামাল দক্ষিণ আফ্রিকা

সংবাদ ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দরনগরী কেপ টাউনের সংঘবদ্ধ সহিংসতা রুখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশের পাশপাশি তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশমন্ত্রী বেকি চেলে। শহরের সহিংসতা কবলিত একটি অংশে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

কেপ টাউনে সংঘবদ্ধ সহিংসতার সমস্যা কয়েক দশকের পুরনো। প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিশোধমূলক হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। সহিংসতার কারণে শহরের বন্তেহুয়েল, ডেলফ, হ্যানোভার পার্ক, ফিলিপ্পি ইস্ট অঞ্চলে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে সেখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলো। দেশটির পুলিশমন্ত্রী বেকি চেলে জানিয়েছেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসামান্য পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক বাড়ি যাব। সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করব। যেসব অপরাধী আমরা খুঁজছি তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করব। জামিনে থাকা সব মারাত্মক অপরাধীকেও আটক করা হবে। আর এসব কিছুই শুক্রবার বেলা ২টা থেকে শুরু হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ২৪ রিপোর্টসকে বেকি চেলে বলেন, সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে থাকবে পুলিশ। গত মে মাসে নির্বাচনের সময়েও একইভাবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। আপাতত তিন মাসের জন্য এই সেনা মোতায়েন করা হলেও পরে তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানান পুলিশমন্ত্রী।