বন্দর রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে কুয়েত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই উত্তেজনা বেড়ে চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশের বন্দরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কুয়েতের নৌবাহিনী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।

সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান ও ইয়েমেন সংলগ্ন পানিসীমার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিনি ওই অঞ্চলে ‘নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করতে চান। চলতি বছরের মে মাসে ওমান উপসাগরে চারটি ট্যাংকারে হামলার পর গত মাসে ওই এলাকায় আরও দুটি ট্যাংকারে হামলা হয়। সবক’টি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত জুন মাসে ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিনের মাথায় একটি চালকবিহীন ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ইরানের দাবি, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই ছিল। ডানফোর্ড জানান, ওই এলাকায় পানিসীমার সুরক্ষা দিতে একটি সামরিক জোট গঠনের পরিকল্পনা চলছে। এ পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জোট গঠন করা সম্ভব হলে হরমুজ ও বাবুল মান্দেব প্রণালীতে জাহাজ চলাচল স্বাধীন ও নিরাপদ হবে। আমি মনে করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হবে কোন কোন দেশ এ জোটে যোগ দিতে ইচ্ছুক। এরপর আমরা সরাসরি সামরিক বাহিনীকে নিয়ে কাজ করব, যাতে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষমতা যাচাই করা সম্ভব হয়।’ এ পরিস্থিতিতেই বন্দর রক্ষায় সমর প্রস্তুতির কথা জানাল কুয়েত।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ , ২ শ্রাবন ১৪২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪০

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা

বন্দর রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে কুয়েত

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই উত্তেজনা বেড়ে চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশের বন্দরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কুয়েতের নৌবাহিনী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।

সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান ও ইয়েমেন সংলগ্ন পানিসীমার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিনি ওই অঞ্চলে ‘নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করতে চান। চলতি বছরের মে মাসে ওমান উপসাগরে চারটি ট্যাংকারে হামলার পর গত মাসে ওই এলাকায় আরও দুটি ট্যাংকারে হামলা হয়। সবক’টি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত জুন মাসে ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিনের মাথায় একটি চালকবিহীন ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ইরানের দাবি, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই ছিল। ডানফোর্ড জানান, ওই এলাকায় পানিসীমার সুরক্ষা দিতে একটি সামরিক জোট গঠনের পরিকল্পনা চলছে। এ পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জোট গঠন করা সম্ভব হলে হরমুজ ও বাবুল মান্দেব প্রণালীতে জাহাজ চলাচল স্বাধীন ও নিরাপদ হবে। আমি মনে করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হবে কোন কোন দেশ এ জোটে যোগ দিতে ইচ্ছুক। এরপর আমরা সরাসরি সামরিক বাহিনীকে নিয়ে কাজ করব, যাতে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষমতা যাচাই করা সম্ভব হয়।’ এ পরিস্থিতিতেই বন্দর রক্ষায় সমর প্রস্তুতির কথা জানাল কুয়েত।