মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি চীনের

তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মার্কিন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে চীন। গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম পিপলস ডেইলি উইচ্যাটে একটি আর্টিকেলে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাম ট্যাংক নির্মাণকারী হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল ও জেট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাল্ফস্ট্রিম অ্যারোস্পেসও রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই চীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তবে চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠান দুটি।

সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। নতুন করে চীনের এ ঘোষণা চির বৈরী দুই দেশের সম্পর্ককে আরও নাজুক অবস্থানে নিয়ে যাবে। স্বায়ত্তশাসিত এবং গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে চীন। বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আশাও বেইজিং কখনো ছাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ও চীন নিয়মিত তাইওয়ানকে তাদের সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয় বলে বর্ণনা করেছে। গত সপ্তাহে পেন্টাগন থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদফতর তাইওয়ানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। ওই খবর প্রকাশের পর গত শুক্রবারই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে চীন ওয়াশিংটনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দেয়। অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২শ’ কোটির বেশি মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এটি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’ ‘চীন সরকার এবং চীনা কোম্পানি অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব কোম্পানিকে কোন ধরনের সহযোগিতা করবে না বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে না। এ মুহূর্তে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে পারছি না। তবে জেনে রাখুন, চীনারা সবসময় তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করাকেই গুরুত্ব দেয়।‘ তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবারই প্রথম নয়। এর আগে দুইবার ২০১০ ও ২০১৫ সালে তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছিল। তবে তা বাস্তবায়ন হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি চীনের

তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি

সংবাদ ডেস্ক

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মার্কিন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে চীন। গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম পিপলস ডেইলি উইচ্যাটে একটি আর্টিকেলে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাম ট্যাংক নির্মাণকারী হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল ও জেট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাল্ফস্ট্রিম অ্যারোস্পেসও রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই চীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তবে চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠান দুটি।

সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। নতুন করে চীনের এ ঘোষণা চির বৈরী দুই দেশের সম্পর্ককে আরও নাজুক অবস্থানে নিয়ে যাবে। স্বায়ত্তশাসিত এবং গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে চীন। বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আশাও বেইজিং কখনো ছাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ও চীন নিয়মিত তাইওয়ানকে তাদের সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয় বলে বর্ণনা করেছে। গত সপ্তাহে পেন্টাগন থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদফতর তাইওয়ানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। ওই খবর প্রকাশের পর গত শুক্রবারই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে চীন ওয়াশিংটনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দেয়। অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২শ’ কোটির বেশি মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এটি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’ ‘চীন সরকার এবং চীনা কোম্পানি অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব কোম্পানিকে কোন ধরনের সহযোগিতা করবে না বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে না। এ মুহূর্তে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে পারছি না। তবে জেনে রাখুন, চীনারা সবসময় তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করাকেই গুরুত্ব দেয়।‘ তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবারই প্রথম নয়। এর আগে দুইবার ২০১০ ও ২০১৫ সালে তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছিল। তবে তা বাস্তবায়ন হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।