ইংরেজি ও আইসিটিতে সাফল্যে বেড়েছে পাসের হার

ইংরেজি ও আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) এবং বিজ্ঞান বিভাগে ভালো করায় এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। এই তিন বিষয়ে কিছুটা খারাপ করার কারণে গত বছর এই পরীক্ষার ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা বলেন, আগের বছর পাসের হার কমার পেছনে যেমন প্রভাব ছিল ইংরেজি, আইসিটি ও বিজ্ঞান বিভাগের খারাপ ফল। এবারও তেমনি ভালো ফলের পেছনে কাজ করেছে ওই বিষয়গুলোর পাসের হার বৃদ্ধি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘এবার পাসের হার অনেক বেড়েছে, জিপিএ-৫ ও বেড়েছে। অন্য সূচকেও ভালো ফল করেছে শিক্ষার্থীরা। এর অনেক কারণ থাকলেও সবচেয়ে বড় কারণ হলো দুটি বিষয়ে ভালো ফল। ইংরেজি ও আইসিটিতে পাসের হার বৃদ্ধির কারণেই এবার সার্বিকভাবে ফল ভালো হয়েছে।’

এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ দুটি বিষয়ে ফেল করার মাত্রাটা বেশি থাকে। এ দুটি বিষয়ে ফেল করার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে গত বছরও পাসের হার কমে যায় অনেক বেশি। মূলত এ দুটি বিষয়ে পাসের হার যতটুকু বাড়ে সব বোর্ডের পাসের হার তাতে বেড়ে যায় তার কমপক্ষে দুইগুণ।’ জিয়াউল হক জানান, ‘এবার আগের বছরের তুলনায় ইংরেজিতে প্রায় প্রত্যেক বোর্ডেই এক শতাংশেরও বেশি পাস করেছে। আর আইসিটিতে পাস করেছে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। এটাই পাসের হার বৃদ্ধিতে প্রভাব রেখেছে।’

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ হিসেবে এবার পাসের হার বেড়েছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ পয়েন্ট। সারাদেশে এবার জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী, যা ২০১৮ সালে পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। এক বছরের ব্যবধানে ফলাফলের এমন পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। আবার যারা খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে তারা এ দুটিতে পিছিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।’

প্রশ্নপত্র সহজ করায় পাসের হার বেড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র সহজ বা কঠিন করায় পাসের হারে প্রভাব পড়েনি। যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ভালো করেছে, আর যাদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিল তারা ভালো ফল পায়নি। তবে যেসব বোর্ড ভালো করছে তারা আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে তাদের ভালো ফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘সাধারণত দুই বা তিনটি বিষয়ে বেশি খারাপ করলেই সেই বছর ফল বেশি খারাপ হয়। ইংরেজি ও আইসিটিতে ফল খারাপ হলে তার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলে। এবার যেহেতু সেই দুটি বিষয়ে পাসের হার বেড়েছে, সে কারণে সার্বিক ফলও ভালো হয়েছে। এছাড়া কঠোর মনিটরিংয়ে শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে আমি মনে করি।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে এইচএসসির ইংরেজিতে এবার পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আগের বছর ছিল ৭৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে ইংরেজিতে পাস করেছে ৯৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই বিষয়ে কুমিল্লা বোর্ডে ৯৬ দশমিক ৪৬, গত বছর ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যশোর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ২২, গত বছর ছিল ৬৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বরিশালে ৯১ দশমিক ৬১ গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ০৬ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৮, গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ১৩, গত বছর ছিল ৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ঢাকা বোর্ডে আইসিটিতে এবার পাস করেছে ৯০ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, আগের বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলেও এই তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব (একই বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেছেন, ‘ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে এবার শিক্ষার্থীদের পাসের হার অনেক বেড়েছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও তাদের বিষয়গুলোতে আগের বছরের চেয়ে ভালো করেছে। এটা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়টি মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ দুটি বিষয়ে তারা ভালো করলে সার্বিক পাসের হারও বেড়ে যায়।’

এইচএসসিতে এবার পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার সর্বোচ্চ ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এ বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘যেসব বিষয়ে আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে সেসব বিষয়ে আমরা বেশকিছু কাজ করেছি। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালাসহ নানা কাজ আমরা করেছি। কী কারণে খারাপ ফল হয়েছিল তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়ার কারণেই এবার আমাদের পাসের হার বেড়েছে।’

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

ইংরেজি ও আইসিটিতে সাফল্যে বেড়েছে পাসের হার

রাকিব উদ্দিন

ইংরেজি ও আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) এবং বিজ্ঞান বিভাগে ভালো করায় এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। এই তিন বিষয়ে কিছুটা খারাপ করার কারণে গত বছর এই পরীক্ষার ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা বলেন, আগের বছর পাসের হার কমার পেছনে যেমন প্রভাব ছিল ইংরেজি, আইসিটি ও বিজ্ঞান বিভাগের খারাপ ফল। এবারও তেমনি ভালো ফলের পেছনে কাজ করেছে ওই বিষয়গুলোর পাসের হার বৃদ্ধি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘এবার পাসের হার অনেক বেড়েছে, জিপিএ-৫ ও বেড়েছে। অন্য সূচকেও ভালো ফল করেছে শিক্ষার্থীরা। এর অনেক কারণ থাকলেও সবচেয়ে বড় কারণ হলো দুটি বিষয়ে ভালো ফল। ইংরেজি ও আইসিটিতে পাসের হার বৃদ্ধির কারণেই এবার সার্বিকভাবে ফল ভালো হয়েছে।’

এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ দুটি বিষয়ে ফেল করার মাত্রাটা বেশি থাকে। এ দুটি বিষয়ে ফেল করার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে গত বছরও পাসের হার কমে যায় অনেক বেশি। মূলত এ দুটি বিষয়ে পাসের হার যতটুকু বাড়ে সব বোর্ডের পাসের হার তাতে বেড়ে যায় তার কমপক্ষে দুইগুণ।’ জিয়াউল হক জানান, ‘এবার আগের বছরের তুলনায় ইংরেজিতে প্রায় প্রত্যেক বোর্ডেই এক শতাংশেরও বেশি পাস করেছে। আর আইসিটিতে পাস করেছে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। এটাই পাসের হার বৃদ্ধিতে প্রভাব রেখেছে।’

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ হিসেবে এবার পাসের হার বেড়েছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ পয়েন্ট। সারাদেশে এবার জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী, যা ২০১৮ সালে পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। এক বছরের ব্যবধানে ফলাফলের এমন পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। আবার যারা খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে তারা এ দুটিতে পিছিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।’

প্রশ্নপত্র সহজ করায় পাসের হার বেড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র সহজ বা কঠিন করায় পাসের হারে প্রভাব পড়েনি। যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ভালো করেছে, আর যাদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিল তারা ভালো ফল পায়নি। তবে যেসব বোর্ড ভালো করছে তারা আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে তাদের ভালো ফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘সাধারণত দুই বা তিনটি বিষয়ে বেশি খারাপ করলেই সেই বছর ফল বেশি খারাপ হয়। ইংরেজি ও আইসিটিতে ফল খারাপ হলে তার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলে। এবার যেহেতু সেই দুটি বিষয়ে পাসের হার বেড়েছে, সে কারণে সার্বিক ফলও ভালো হয়েছে। এছাড়া কঠোর মনিটরিংয়ে শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে আমি মনে করি।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে এইচএসসির ইংরেজিতে এবার পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আগের বছর ছিল ৭৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে ইংরেজিতে পাস করেছে ৯৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই বিষয়ে কুমিল্লা বোর্ডে ৯৬ দশমিক ৪৬, গত বছর ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যশোর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ২২, গত বছর ছিল ৬৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বরিশালে ৯১ দশমিক ৬১ গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ০৬ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৮, গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ১৩, গত বছর ছিল ৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ঢাকা বোর্ডে আইসিটিতে এবার পাস করেছে ৯০ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, আগের বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলেও এই তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব (একই বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেছেন, ‘ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে এবার শিক্ষার্থীদের পাসের হার অনেক বেড়েছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও তাদের বিষয়গুলোতে আগের বছরের চেয়ে ভালো করেছে। এটা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়টি মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ দুটি বিষয়ে তারা ভালো করলে সার্বিক পাসের হারও বেড়ে যায়।’

এইচএসসিতে এবার পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার সর্বোচ্চ ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এ বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘যেসব বিষয়ে আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে সেসব বিষয়ে আমরা বেশকিছু কাজ করেছি। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালাসহ নানা কাজ আমরা করেছি। কী কারণে খারাপ ফল হয়েছিল তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়ার কারণেই এবার আমাদের পাসের হার বেড়েছে।’