উচ্চ মাধ্যমিকের ফল যথেষ্ট ভালো ও গ্রহণযোগ্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফলের প্রশংসা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে ভবিষ্যতে তারা অনেক ভালো ফল করতে পারবে। তিনি গতকাল গণভবনে ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ পাস করেছে। এটি যথেষ্ট ভালো ও গ্রহণযোগ্য ফল। আমি মনে করি, শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে তারা অনেক ভালো ফল করতে পারবে। এটি আমার বিশ্বাস। তিনি মাত্র ৫৫ দিনে ফল প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ছাত্রীদের পাসের হার বেশি হওয়ায় জেন্ডার সমতার কথাটি স্মরণ করিয়ে ছাত্রদেরও পাসের হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্রদের পাসের হারটা বাড়তে হবে- যাতে জেন্ডার সমতাটা এসে যায়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিজ্ঞান, কারিগরি ও কম্পিউটার শিক্ষা সম্প্রসারণে বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে ১৯৯৬ সালে তার সরকারের আমলে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, একটা সমাজকে উন্নত করতে হলে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিক্ষিত জাতি পারবে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধভাবে গড়ে তুলতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেইন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ফল জানতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল যথেষ্ট ভালো ও গ্রহণযোগ্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফলের প্রশংসা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে ভবিষ্যতে তারা অনেক ভালো ফল করতে পারবে। তিনি গতকাল গণভবনে ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ পাস করেছে। এটি যথেষ্ট ভালো ও গ্রহণযোগ্য ফল। আমি মনে করি, শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে তারা অনেক ভালো ফল করতে পারবে। এটি আমার বিশ্বাস। তিনি মাত্র ৫৫ দিনে ফল প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ছাত্রীদের পাসের হার বেশি হওয়ায় জেন্ডার সমতার কথাটি স্মরণ করিয়ে ছাত্রদেরও পাসের হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্রদের পাসের হারটা বাড়তে হবে- যাতে জেন্ডার সমতাটা এসে যায়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিজ্ঞান, কারিগরি ও কম্পিউটার শিক্ষা সম্প্রসারণে বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে ১৯৯৬ সালে তার সরকারের আমলে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, একটা সমাজকে উন্নত করতে হলে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিক্ষিত জাতি পারবে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধভাবে গড়ে তুলতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেইন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ফল জানতে পারে।