ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি টাকা

গত সপ্তাহে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি টাকা বা ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৬ টাকা। আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ টাকা। যা গড়ে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৯ টাকা। গত সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৯ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার ৮০৮ টাকা।

গত সপ্তাহে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮০ দশমিক ১১ শতাংশ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ২০ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৩৮ টাকা। লেনদেনে গত সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৮ কোটি ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এদিকে সদ্য শুরু হওয়া নতুন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এন’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহণ ছিল ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনে গেলো সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দখলে ছিল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৬৬টি, কমেছে ২৭৩টি শেয়ারদর। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৩ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ১৯৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৬ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৭৫৭ টাকা বা ৭ দশমিক ৪৪ শতাশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১৪০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৮ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১১ বা ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯ বা ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৫৮, ১৩ হাজার ৯৪৪, ১ হাজার ১৫৮ ও ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ২৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। আর শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির।

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ , ৫ শ্রাবন ১৪২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪০

ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

গত সপ্তাহে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি টাকা বা ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৬ টাকা। আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ টাকা। যা গড়ে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৯ টাকা। গত সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৯ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার ৮০৮ টাকা।

গত সপ্তাহে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮০ দশমিক ১১ শতাংশ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ২০ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৩৮ টাকা। লেনদেনে গত সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৮ কোটি ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এদিকে সদ্য শুরু হওয়া নতুন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এন’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহণ ছিল ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনে গেলো সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দখলে ছিল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৬৬টি, কমেছে ২৭৩টি শেয়ারদর। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৩ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ১৯৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৬ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৭৫৭ টাকা বা ৭ দশমিক ৪৪ শতাশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১৪০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৮ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১১ বা ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯ বা ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৫৮, ১৩ হাজার ৯৪৪, ১ হাজার ১৫৮ ও ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ২৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। আর শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির।