স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্মৃতি আক্তার রীমা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্মৃতি আক্তার রীমা হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। সে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার। জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী রীমা পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসত। এ সুবাধে একই উপজেলার পাশের চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে অসুস্থ নানিকে দেখতে নানার বাড়ি আসে রীমা। বুধবার রাত ১০টার দিকে রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে রীমাকে জাহিদের সঙ্গে আলাপ করতে দেখতে পান। এ সময় জাহিদের সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছেলে ছিল। রীমাকে ডাক দিলে জাহিদসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রীমাকে ঘরে নিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়েন মা। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় রীমাকে দেখতে না পেয়ে খোজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে একটি বরই গাছের ডালে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রীমার মামী নাজমা খাতুন জানান, তিনি গত বুধবার দুপুরে বাড়ির উত্তর পাশের একটি কুমড়া খেতের কাছে রীমাকে জাহিদের সঙ্গে আলাপ করতে দেখেছেন। রীমার বড় মামা মোস্তফা জানান, চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ রীমাকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার বন্ধু একই গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে পলাশসহ আরও ২-৩ জন মিলে রীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বরই গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে। তার প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, বড়ই গাছ থেকে ২০ হাত উত্তর পাশে ধর্ষণের আলামত হিসেবে কয়েকটি কনডম ও সেক্সুয়াল বড়ি পড়ে থাকতে দেখতে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ধর্ষণ ও মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ , ৫ শ্রাবন ১৪২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪০

কিশোরগঞ্জে

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্মৃতি আক্তার রীমা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্মৃতি আক্তার রীমা হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। সে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার। জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী রীমা পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসত। এ সুবাধে একই উপজেলার পাশের চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে অসুস্থ নানিকে দেখতে নানার বাড়ি আসে রীমা। বুধবার রাত ১০টার দিকে রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে রীমাকে জাহিদের সঙ্গে আলাপ করতে দেখতে পান। এ সময় জাহিদের সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছেলে ছিল। রীমাকে ডাক দিলে জাহিদসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রীমাকে ঘরে নিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়েন মা। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় রীমাকে দেখতে না পেয়ে খোজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে একটি বরই গাছের ডালে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রীমার মামী নাজমা খাতুন জানান, তিনি গত বুধবার দুপুরে বাড়ির উত্তর পাশের একটি কুমড়া খেতের কাছে রীমাকে জাহিদের সঙ্গে আলাপ করতে দেখেছেন। রীমার বড় মামা মোস্তফা জানান, চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ রীমাকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার বন্ধু একই গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে পলাশসহ আরও ২-৩ জন মিলে রীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বরই গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে। তার প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, বড়ই গাছ থেকে ২০ হাত উত্তর পাশে ধর্ষণের আলামত হিসেবে কয়েকটি কনডম ও সেক্সুয়াল বড়ি পড়ে থাকতে দেখতে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ধর্ষণ ও মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।