হরমুজে ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করল ইরান

হরমুজ প্রণালী থেকে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের প্রতি সম্মান না দেখানোয় ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে যুক্তরাজ্যের ইরানি ট্যাংকার জব্দের জেরে প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রিটিশ এ ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্যাংকার আটকের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। নৌযানটি শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে ইরানকে সতর্কও করেছে তারা। বিবিসি, রয়টার্স।

স্টেনা ইমপেরিও নামের ওই ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটকের ৪০ মিনিট পর ইরানের সেনাবাহিনী যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় আরেকটি ট্যাংকারকেও আটক করেছিল। যদিও পরে মেসদার নামে ওই নৌযানটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের হরমুজগানের বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচল বিষয়ক সংস্থার অনুরোধে ‘স্টেনা ইমপেরিও নামের একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি সম্মন না দেখানোয় ইরানের ওই সংস্থা তেল ট্যাংকারটিকে আটকের অনুরোধ জানায়। ট্যাংকারটি উপকূলে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটিতে তল্লাশি চালানো হবে। হরমুজ প্রণালীতে ইরানি ড্রোন ধ্বংসের মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যানের কিছু সময় পরই ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটকের খবর দেয় তেহরান। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরমি হান্ট বলেছেন ‘এ আটক অগ্রহণযোগ্য। সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং ওই অঞ্চলে যেন সব নৌযান নিরাপদে ও অবাধে চলতে পারে তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। ইরান ট্যাংকারটিকে শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সামরিক নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপেই বেশি জোর দিচ্ছে বলেও ভাষ্য হান্টের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ইউএসএস বক্সার হরমুজে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে তিনি দাবিও করেছিলেন। যদিও ইরান তা অস্বীকার করেছে। চলতি মাসের শুরুতে জিব্রাল্টারে ইরানি তেলের ট্যাংকার গ্রেস ১ আটকের পর থেকেই তেহরান ও লন্ডনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। সিরিয়ার বানিয়াস শোধনাগারে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছে এমন সন্দেহে ব্রিটিশ মেরিন সেনাদের সহায়তায় জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ ওই সুপার ট্যাংকারটিকে আটক করে। ওই শোধনাগারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে গ্রেস-ওয়ানের সব ক্রুকে মুক্তি দিয়েছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ। তবে জাহাজটির বিষয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই ফোনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে কথা বলেছেন জেরেমি হান্ট। ফোনালাপে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ট্যাংকারের তেল কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং আমাদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে এ তেল কোথায় যাচ্ছে। এটি সিরিয়ায় যাবে না এমন গ্যারান্টি পেলেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ট্যাংকারটি ছেড়ে দেবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপের পর তেল ট্যাংকার ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে কোন ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দেশটিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।

‘ব্রিটিশ ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরিও আটকের বিষয়ে রয়টার্স জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালের দিকে হরমুজ প্রণালী দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশের কিছু সময় পর ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর নৌযান ও হেলিকপ্টার স্টেনা ইমপেরিওকে গতিপথ বদলাতে বাধ্য করে। এর কিছুক্ষণ পর মেসদারকেও আটক করার খবর পাওয়া যায়। ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম পরে জানায়, তেহরান তেলবাহী ট্যাংকার মেসদারকে আটক করেনি। নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিষয়ে সতর্ক করে সেটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌযানটি পরে নির্দিষ্ট যাত্রাপথে ফিরেছে এবং এর ক্ষুরা ‘ভালো ও নিরাপদ’ আছেন বলে জানিয়েছে মেসদারের ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান নরবাক। ‘সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন অনুসরণ না করায়’ ইরানি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে স্টেনা ইমপেরিওকে আটক করা হয় বলে দেশটির বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ‘যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী তেলের ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরিও সম্পর্কে কিছু প্রতিবেদন পাওয়ার পর আরও অনুসন্ধানের লক্ষ্যে আমরা সেনাবাহিনীকে ওই ট্যাংকারটিকে বন্দর আব্বাসের দিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করি,’ বলেছেন হরমুজগান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের প্রধান আল্লামুরাদ আফিফিপুর। ইরানি কর্তৃপক্ষ স্টেনা ইমপেরিওর বিরুদ্ধে জিপিএস বন্ধ রাখা, হরমুজের প্রবেশপথ দিয়ে না গিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথ ব্যবহার করা ও ধারাবাহিক সতর্কতা অবজ্ঞা করার অভিযোগ করছে বলে জানিয়েছে তাসনিম। ব্রিটিশ এ নৌযানটি তেলের অবশেষ ডাম্পিং করে দূষণ সৃষ্টি করছিল বলেও ভাষ্য তেহরানের। স্টেনা ইমপেরিওর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন মেরিন ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, তাদের নৌযানটি সৌদি আরবের জুবেল বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। এর ২৩ ক্রুর নিরাপত্তার বিষয়টির ওপরই সবচেয়ে বেশ জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

হরমুজে ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করল ইরান

সংবাদ ডেস্ক

image

শীঘ্রই ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারটি ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্যের

হরমুজ প্রণালী থেকে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের প্রতি সম্মান না দেখানোয় ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে যুক্তরাজ্যের ইরানি ট্যাংকার জব্দের জেরে প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রিটিশ এ ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্যাংকার আটকের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। নৌযানটি শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে ইরানকে সতর্কও করেছে তারা। বিবিসি, রয়টার্স।

স্টেনা ইমপেরিও নামের ওই ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটকের ৪০ মিনিট পর ইরানের সেনাবাহিনী যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় আরেকটি ট্যাংকারকেও আটক করেছিল। যদিও পরে মেসদার নামে ওই নৌযানটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের হরমুজগানের বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচল বিষয়ক সংস্থার অনুরোধে ‘স্টেনা ইমপেরিও নামের একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি সম্মন না দেখানোয় ইরানের ওই সংস্থা তেল ট্যাংকারটিকে আটকের অনুরোধ জানায়। ট্যাংকারটি উপকূলে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটিতে তল্লাশি চালানো হবে। হরমুজ প্রণালীতে ইরানি ড্রোন ধ্বংসের মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যানের কিছু সময় পরই ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটকের খবর দেয় তেহরান। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরমি হান্ট বলেছেন ‘এ আটক অগ্রহণযোগ্য। সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং ওই অঞ্চলে যেন সব নৌযান নিরাপদে ও অবাধে চলতে পারে তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। ইরান ট্যাংকারটিকে শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সামরিক নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপেই বেশি জোর দিচ্ছে বলেও ভাষ্য হান্টের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ইউএসএস বক্সার হরমুজে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে তিনি দাবিও করেছিলেন। যদিও ইরান তা অস্বীকার করেছে। চলতি মাসের শুরুতে জিব্রাল্টারে ইরানি তেলের ট্যাংকার গ্রেস ১ আটকের পর থেকেই তেহরান ও লন্ডনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। সিরিয়ার বানিয়াস শোধনাগারে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছে এমন সন্দেহে ব্রিটিশ মেরিন সেনাদের সহায়তায় জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ ওই সুপার ট্যাংকারটিকে আটক করে। ওই শোধনাগারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে গ্রেস-ওয়ানের সব ক্রুকে মুক্তি দিয়েছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ। তবে জাহাজটির বিষয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই ফোনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে কথা বলেছেন জেরেমি হান্ট। ফোনালাপে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ট্যাংকারের তেল কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং আমাদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে এ তেল কোথায় যাচ্ছে। এটি সিরিয়ায় যাবে না এমন গ্যারান্টি পেলেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ট্যাংকারটি ছেড়ে দেবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপের পর তেল ট্যাংকার ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে কোন ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দেশটিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।

‘ব্রিটিশ ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরিও আটকের বিষয়ে রয়টার্স জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালের দিকে হরমুজ প্রণালী দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশের কিছু সময় পর ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর নৌযান ও হেলিকপ্টার স্টেনা ইমপেরিওকে গতিপথ বদলাতে বাধ্য করে। এর কিছুক্ষণ পর মেসদারকেও আটক করার খবর পাওয়া যায়। ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম পরে জানায়, তেহরান তেলবাহী ট্যাংকার মেসদারকে আটক করেনি। নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিষয়ে সতর্ক করে সেটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌযানটি পরে নির্দিষ্ট যাত্রাপথে ফিরেছে এবং এর ক্ষুরা ‘ভালো ও নিরাপদ’ আছেন বলে জানিয়েছে মেসদারের ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান নরবাক। ‘সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন অনুসরণ না করায়’ ইরানি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে স্টেনা ইমপেরিওকে আটক করা হয় বলে দেশটির বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ‘যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী তেলের ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরিও সম্পর্কে কিছু প্রতিবেদন পাওয়ার পর আরও অনুসন্ধানের লক্ষ্যে আমরা সেনাবাহিনীকে ওই ট্যাংকারটিকে বন্দর আব্বাসের দিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করি,’ বলেছেন হরমুজগান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের প্রধান আল্লামুরাদ আফিফিপুর। ইরানি কর্তৃপক্ষ স্টেনা ইমপেরিওর বিরুদ্ধে জিপিএস বন্ধ রাখা, হরমুজের প্রবেশপথ দিয়ে না গিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথ ব্যবহার করা ও ধারাবাহিক সতর্কতা অবজ্ঞা করার অভিযোগ করছে বলে জানিয়েছে তাসনিম। ব্রিটিশ এ নৌযানটি তেলের অবশেষ ডাম্পিং করে দূষণ সৃষ্টি করছিল বলেও ভাষ্য তেহরানের। স্টেনা ইমপেরিওর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন মেরিন ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, তাদের নৌযানটি সৌদি আরবের জুবেল বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। এর ২৩ ক্রুর নিরাপত্তার বিষয়টির ওপরই সবচেয়ে বেশ জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।