বন্যায় দেড় হাজার স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

চলমান বন্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রায় দেড় হাজার হাইস্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমি, অবকাঠামো, আসবাবপত্র ও অন্য শিক্ষা উপকরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জামালপুর জেলার ৪০৮টি হাইস্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা গতকাল নাগাদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তৈরি করতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মাউশি ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ৬৪ জেলার শিক্ষা কার্যক্রম তদারক করে। সবকটি কার্যালয় থেকেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গতকাল ঢাকায় প্রাথমিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এতে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ৪০৮টি প্রতিষ্ঠান জামালপুরের। ময়মনসিংহে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ কোটি টাকা।

অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয় ও বিভাগের মধ্যে রাজশাহীর ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, চট্টগ্রামের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, ঢাকা অঞ্চলে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সিলেট অঞ্চলে ২৫২টি প্রতিষ্ঠানে দশ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং রংপুর অঞ্চলে ৫২৯টি প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মাউশি’র উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রুহুল মমিন সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।’

তিনি জানান, মাউশি’র মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) অধীনে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীরা। বন্যা শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপদকালীন সংস্কারকাজের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রয়েছে।’

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

বন্যায় দেড় হাজার স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

চলমান বন্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রায় দেড় হাজার হাইস্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমি, অবকাঠামো, আসবাবপত্র ও অন্য শিক্ষা উপকরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জামালপুর জেলার ৪০৮টি হাইস্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা গতকাল নাগাদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তৈরি করতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মাউশি ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ৬৪ জেলার শিক্ষা কার্যক্রম তদারক করে। সবকটি কার্যালয় থেকেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গতকাল ঢাকায় প্রাথমিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এতে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ৪০৮টি প্রতিষ্ঠান জামালপুরের। ময়মনসিংহে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ কোটি টাকা।

অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয় ও বিভাগের মধ্যে রাজশাহীর ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, চট্টগ্রামের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, ঢাকা অঞ্চলে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সিলেট অঞ্চলে ২৫২টি প্রতিষ্ঠানে দশ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং রংপুর অঞ্চলে ৫২৯টি প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মাউশি’র উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রুহুল মমিন সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।’

তিনি জানান, মাউশি’র মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) অধীনে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীরা। বন্যা শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপদকালীন সংস্কারকাজের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রয়েছে।’