ডেঙ্গু নির্ণয়ে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে কিনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু নির্ণয়ে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে কিনা এবং সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা হচ্ছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ডেঙ্গু নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে এ তথ্য জানতে চেয়েছেন। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে প্রতিবেদনটি নজের আনেন আইনজীবী মোশতাক আহমেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। মোশতাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ফি নিচ্ছে। পত্রিকায় এসেছে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। ১৪৫ টাকার পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে অনেক টাকা। কেউ ১৭শ আবার কেউ ১৮শ টাকা নিচ্ছে। এটা কোর্টের নজরে এনেছি। কোর্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, ‘ফি আসলে কত হবে সেটা জানাবেন। আগামী সোমবার এটা জানাতে হবে। সঠিক ফি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে কিনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির কাছ থেকে জানবেন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা হচ্ছে কিনা।’

আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলো বহুগুণ দাম নিচ্ছে এ অভিযোগ জাতীয় দৈনিকে এসেছে। আদালত বলেছেন- অধিদফতরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইন অনুযায়ী বেশি ফি নেয়া হচ্ছে কিনা, নিলে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা জানাতে হবে।’ এর আগে ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় অযৌক্তিক ফি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটিই আদালতের নজরে আনা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। হাসপাতালে পৌঁছে মানুষ প্রথমেই জানতে চান, ডেঙ্গু হয়েছে কি হয়নি। ঠিক এই সুযোগটাই কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি বেশি রাখছে। তাদের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, পেইং বেড ও কেবিনের রোগীদের কাছ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে।’ ঢাকা শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে এই পরীক্ষা হচ্ছে বিনামূল্যে। কিন্তু কেবিনের রোগীদের জন্য এই পরীক্ষা ৮৫০ টাকায় করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

বেসরকারি হাসপাতাল

ডেঙ্গু নির্ণয়ে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে কিনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু নির্ণয়ে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে কিনা এবং সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা হচ্ছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ডেঙ্গু নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে এ তথ্য জানতে চেয়েছেন। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে প্রতিবেদনটি নজের আনেন আইনজীবী মোশতাক আহমেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। মোশতাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ফি নিচ্ছে। পত্রিকায় এসেছে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। ১৪৫ টাকার পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে অনেক টাকা। কেউ ১৭শ আবার কেউ ১৮শ টাকা নিচ্ছে। এটা কোর্টের নজরে এনেছি। কোর্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, ‘ফি আসলে কত হবে সেটা জানাবেন। আগামী সোমবার এটা জানাতে হবে। সঠিক ফি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে কিনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির কাছ থেকে জানবেন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা হচ্ছে কিনা।’

আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলো বহুগুণ দাম নিচ্ছে এ অভিযোগ জাতীয় দৈনিকে এসেছে। আদালত বলেছেন- অধিদফতরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইন অনুযায়ী বেশি ফি নেয়া হচ্ছে কিনা, নিলে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা জানাতে হবে।’ এর আগে ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় অযৌক্তিক ফি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটিই আদালতের নজরে আনা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। হাসপাতালে পৌঁছে মানুষ প্রথমেই জানতে চান, ডেঙ্গু হয়েছে কি হয়নি। ঠিক এই সুযোগটাই কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি বেশি রাখছে। তাদের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, পেইং বেড ও কেবিনের রোগীদের কাছ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে।’ ঢাকা শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে এই পরীক্ষা হচ্ছে বিনামূল্যে। কিন্তু কেবিনের রোগীদের জন্য এই পরীক্ষা ৮৫০ টাকায় করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।