বন্যায় ১১৭ জনের মৃত্যু

  • ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ
  • কাজ করছে মেডিকেল টিম

বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত শিশুসহ ১১৭ জনের মৃত্যু ও ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব তথ্য জানা গেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে ৯৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে। অপর দিকে বন্যার কারণে নানা ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে এসব তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আবার অনেক আক্রান্ত অঞ্চলের খবর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ২ হাজারেরও বেশি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা বন্যার্তদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জরুরি চিকিৎসাসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা ও গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, বান্দরবন, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিলেট, সুনামঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম,জামালপুর, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর মাদারীপুরসহ দেশের ২৮টি জেলার ৭৪টি উপজেলা বন্যাদুগর্ত। ওই সব উপজেলায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজারেও বেশি। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত আরও ১ হাজার ৬ শতাধিক। বজ্রপাতে আক্রান্ত ৮ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৭ জন। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ৫৬ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৮ জন। পানিতে মারা গেছে ৯৬ জন। আক্রান্ত ২৩ জন। চর্মরোগে আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, চোখের প্রদাহে ভুগছেন শতাধিক। আঘাত প্রাপ্ত ৪৩৪ জন। অন্যান্যভাবে আহত ৪ হাজার ৬৯৫ জন। মৃত্যু ৩ জন। গত ১০ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। আক্রান্ত ১৫ হাজার ৭৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জেলা সিভিল সার্জন, হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালকরা প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসা, আক্রান্ত, আহত ও নিহতদের সম্পর্কে যে গাইডলাইন দিচ্ছেন তা সরকারের উচ্চপর্যায়ে সর্বশেষ তথ্য জানানো হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে অনেক স্থানে টিউবওয়েল ডুবে গেছে। অনেকেই দূষিত পানি ব্যবহার করছে। আবার দূষিত পানিতে গোসল করছে। পাহাড় থেকে নেমে আসা দূষিত পানিতে গোসল করার কারণে চর্মরোগ ও চোখের প্রদাহসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এখন বন্যাকবলিত অঞ্চলের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা দরকার। এর জন্য পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট সরবরাহ জরুরি বলে তিনি মনে করেন। আর বন্যার কারণে পাহাড়ি সাপ স্রোতের সঙ্গে নামে। তখন পায়ের চাপ পড়লে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে সাপ কামড় দেয়। বিষাক্ত সাপের কামড়ে অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে। তাই শিশুদের স্রোতের পানি থেকে সাবধানে রাখতে হবে বলে মতামত দেন।

image

কুড়িগ্রাম : বন্যার পানি নেমে গেলেও ঘরে ফিরতে পারছে না মানুষ -সংবাদ

আরও খবর
রাজশাহীতে কলেজছাত্রীর দেহ উদ্ধার
অজুহাত নয় ডেঙ্গুর উৎস ধ্বংস করুন
‘ডাকটিকিট ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির এক সেতুবন্ধন’
বেগম পত্রিকার ৭৩ বছর
পানি নামছে দুর্দশা কমেনি বানভাসিদের
দাঁতের চিকিৎসা করানো হলো খালেদার
রনজিত পুরস্কার পাচ্ছেন সাহিত্যিক মামুন হুসাইন
ডাকাতি ছিনতাই বেড়েছে ছাড় পাচ্ছে না পুলিশও
জালিয়াতির মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কলেজে শিক্ষক নিয়োগ
‘পুলিশের ওপর আস্থার অভাবেই গণপিটুনি’
ধলেশ্বরীতে তিন কলেজছাত্র নিখোঁজ
বালু সন্ত্রাস রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি
ধর্ষণমুক্ত ও নিরাপদ শৈশব চাই
কলেজছাত্রী ধর্ষণ ধর্ষক গ্রেফতার

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

বন্যায় ১১৭ জনের মৃত্যু

বাকী বিল্লাহ

image

কুড়িগ্রাম : বন্যার পানি নেমে গেলেও ঘরে ফিরতে পারছে না মানুষ -সংবাদ

  • ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ
  • কাজ করছে মেডিকেল টিম

বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত শিশুসহ ১১৭ জনের মৃত্যু ও ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব তথ্য জানা গেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে ৯৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে। অপর দিকে বন্যার কারণে নানা ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে এসব তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আবার অনেক আক্রান্ত অঞ্চলের খবর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ২ হাজারেরও বেশি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা বন্যার্তদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জরুরি চিকিৎসাসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা ও গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, বান্দরবন, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিলেট, সুনামঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম,জামালপুর, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর মাদারীপুরসহ দেশের ২৮টি জেলার ৭৪টি উপজেলা বন্যাদুগর্ত। ওই সব উপজেলায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজারেও বেশি। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত আরও ১ হাজার ৬ শতাধিক। বজ্রপাতে আক্রান্ত ৮ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৭ জন। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ৫৬ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৮ জন। পানিতে মারা গেছে ৯৬ জন। আক্রান্ত ২৩ জন। চর্মরোগে আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, চোখের প্রদাহে ভুগছেন শতাধিক। আঘাত প্রাপ্ত ৪৩৪ জন। অন্যান্যভাবে আহত ৪ হাজার ৬৯৫ জন। মৃত্যু ৩ জন। গত ১০ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। আক্রান্ত ১৫ হাজার ৭৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জেলা সিভিল সার্জন, হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালকরা প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসা, আক্রান্ত, আহত ও নিহতদের সম্পর্কে যে গাইডলাইন দিচ্ছেন তা সরকারের উচ্চপর্যায়ে সর্বশেষ তথ্য জানানো হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে অনেক স্থানে টিউবওয়েল ডুবে গেছে। অনেকেই দূষিত পানি ব্যবহার করছে। আবার দূষিত পানিতে গোসল করছে। পাহাড় থেকে নেমে আসা দূষিত পানিতে গোসল করার কারণে চর্মরোগ ও চোখের প্রদাহসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এখন বন্যাকবলিত অঞ্চলের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা দরকার। এর জন্য পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট সরবরাহ জরুরি বলে তিনি মনে করেন। আর বন্যার কারণে পাহাড়ি সাপ স্রোতের সঙ্গে নামে। তখন পায়ের চাপ পড়লে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে সাপ কামড় দেয়। বিষাক্ত সাপের কামড়ে অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে। তাই শিশুদের স্রোতের পানি থেকে সাবধানে রাখতে হবে বলে মতামত দেন।