‘পুলিশের ওপর আস্থার অভাবেই গণপিটুনি’

সরকারের প্রতি অনাস্থা থেকেই গুজবের মতো পরিস্থিতি তৈরি এবং পুলিশের ওপর আস্থার অভাবেই মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের ‘গণপিটুনিতে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা বন্ধে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা, ৩০টির বেশি জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য অপ্রতুল ত্রাণ বরাদ্দ এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু দমনে অবহেলা ও ব্যর্থতার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে গণসংহতির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুনায়েদ সাকি বলেন, সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে নৃশংস কায়দায় অনেক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতোটা অবনতি হলে, পুলিশ ও আদালতের প্রতি মানুষের অনাস্থা কতোটা তীব্র হলে সরকারের প্রতি এমন সন্দেহ তৈরি হতে পারে?’

তিনি বলেন, পুলিশ এই ছেলেধরাদের কোন বিচার করবে না, অতএব তাদের পিটিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি এই আতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার অনেক বিলম্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেই এতগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। গণপিটুনি সরকারের ব্যর্থতা। এই ঘটনায় নিহত সবগুলো মানুষের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের নজিরবিহীন লুণ্ঠন দেশের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির জন্য দায়ী উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ এখন জলবন্দী। উজান থেকে আরও পানি নেমে আসছে, এছাড়া আছে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। অথচ এখনও সরকারের তরফ থেকে বন্যার কোন যথাযথ পূর্বাভাস ও সে অনুযায়ী কোন ত্রাণ এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে বাঁধ নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে দুর্নীতি, নজিরবিহীন লুণ্ঠন ও অপচয় বন্যা পরিস্থিতির এতটা অবনতির জন্য দায়ী।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

‘পুলিশের ওপর আস্থার অভাবেই গণপিটুনি’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারের প্রতি অনাস্থা থেকেই গুজবের মতো পরিস্থিতি তৈরি এবং পুলিশের ওপর আস্থার অভাবেই মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের ‘গণপিটুনিতে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা বন্ধে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা, ৩০টির বেশি জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য অপ্রতুল ত্রাণ বরাদ্দ এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু দমনে অবহেলা ও ব্যর্থতার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে গণসংহতির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুনায়েদ সাকি বলেন, সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে নৃশংস কায়দায় অনেক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতোটা অবনতি হলে, পুলিশ ও আদালতের প্রতি মানুষের অনাস্থা কতোটা তীব্র হলে সরকারের প্রতি এমন সন্দেহ তৈরি হতে পারে?’

তিনি বলেন, পুলিশ এই ছেলেধরাদের কোন বিচার করবে না, অতএব তাদের পিটিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি এই আতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার অনেক বিলম্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেই এতগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। গণপিটুনি সরকারের ব্যর্থতা। এই ঘটনায় নিহত সবগুলো মানুষের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের নজিরবিহীন লুণ্ঠন দেশের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির জন্য দায়ী উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ এখন জলবন্দী। উজান থেকে আরও পানি নেমে আসছে, এছাড়া আছে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। অথচ এখনও সরকারের তরফ থেকে বন্যার কোন যথাযথ পূর্বাভাস ও সে অনুযায়ী কোন ত্রাণ এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে বাঁধ নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে দুর্নীতি, নজিরবিহীন লুণ্ঠন ও অপচয় বন্যা পরিস্থিতির এতটা অবনতির জন্য দায়ী।