ভেনিজুয়েলায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী

দিওসদাদো ক্যাবেলোর আশঙ্কা

ভেনিজুয়েলায় মার্কিন নৌবাহিনী প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কারাকাসের সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে নিজের এমন আশঙ্কার কথা জানান দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির এ নেতা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

এমন এক সময়ে ভেনিজুয়েলার সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট এ আশঙ্কার কথা জানালেন যার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ধাওয়া করে কারাকাসের একটি যুদ্ধবিমান। গত ১৯ জুলাই ভেনিজুয়েলার কাছে আন্তর্জাতিক আকশসীমায় এ ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। সেদিন রাশিয়ার তৈরি সুখোই-৩০ ফ্ল্যাঙ্কার দিয়ে মার্কিন বিমানকে ধাওয়া করে ভেনিজুয়েলা। এর আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও কার্গো ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারবাহিকতায় ভেনিজুয়েলার সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো বলেন, আমরা একটি ছোট দেশ। আমরা খুবই বিনয়ী। মার্কিন নৌবাহিনী হয়তো এখানে প্রবেশ করতে পারে। শনিবার সাও পাওলো ফোরামে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ল্যাটিন আমেরিকার বাম রাজনীতিক ও আন্দোলনকর্মীদের (অ্যাক্টিভিস্ট) অংশগ্রহণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সম্মেলনে দেয়া নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোন প্রমাণ তুলে ধরেননি তিনি। এদিকে রাশিয়ার শরণাপন্ন হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন খোদ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হুয়ান গুইদোর অনুসারীরা মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন। আমরা তাদের বলেছি, বাইরের হস্তক্ষেপের জন্য উসকানি দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। ভেনিজুয়েলা সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে নিয়মিত হুমকি আমরা দেখছি, সেটিও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলা পরিস্থিতি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজনৈতিক সংকটে থাকা ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, চলমান চুক্তির অধীনেই ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে পাঠানো সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ প্রাধান্য পাবে এতে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চলমান কাঠামোর মধ্যেই ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেব। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। তবে দেশটির রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে রাশিয়া যোগাযোগ রাখছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মে’তে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এবং দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চলতি বছরের শুরুতে ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

ভেনিজুয়েলায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী

দিওসদাদো ক্যাবেলোর আশঙ্কা

সংবাদ ডেস্ক

image

দিওসদাদো ক্যাবেলো

ভেনিজুয়েলায় মার্কিন নৌবাহিনী প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কারাকাসের সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে নিজের এমন আশঙ্কার কথা জানান দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির এ নেতা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

এমন এক সময়ে ভেনিজুয়েলার সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট এ আশঙ্কার কথা জানালেন যার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ধাওয়া করে কারাকাসের একটি যুদ্ধবিমান। গত ১৯ জুলাই ভেনিজুয়েলার কাছে আন্তর্জাতিক আকশসীমায় এ ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। সেদিন রাশিয়ার তৈরি সুখোই-৩০ ফ্ল্যাঙ্কার দিয়ে মার্কিন বিমানকে ধাওয়া করে ভেনিজুয়েলা। এর আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও কার্গো ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারবাহিকতায় ভেনিজুয়েলার সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো বলেন, আমরা একটি ছোট দেশ। আমরা খুবই বিনয়ী। মার্কিন নৌবাহিনী হয়তো এখানে প্রবেশ করতে পারে। শনিবার সাও পাওলো ফোরামে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ল্যাটিন আমেরিকার বাম রাজনীতিক ও আন্দোলনকর্মীদের (অ্যাক্টিভিস্ট) অংশগ্রহণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সম্মেলনে দেয়া নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোন প্রমাণ তুলে ধরেননি তিনি। এদিকে রাশিয়ার শরণাপন্ন হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন খোদ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হুয়ান গুইদোর অনুসারীরা মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন। আমরা তাদের বলেছি, বাইরের হস্তক্ষেপের জন্য উসকানি দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। ভেনিজুয়েলা সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে নিয়মিত হুমকি আমরা দেখছি, সেটিও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলা পরিস্থিতি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজনৈতিক সংকটে থাকা ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, চলমান চুক্তির অধীনেই ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে পাঠানো সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ প্রাধান্য পাবে এতে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চলমান কাঠামোর মধ্যেই ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেব। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। তবে দেশটির রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে রাশিয়া যোগাযোগ রাখছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মে’তে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এবং দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চলতি বছরের শুরুতে ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়।