রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা নিজস্ব রাষ্ট্র দেয়া উচিত

মাহাথির মোহাম্মদ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কিংবা আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত মায়ানমারের। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না তবে মায়ানমারে এ গণহত্যায় তারা চুপও থাকতে পারেন না।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর দেশটির সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে চার লাখেরও বেশি মানুষ এখনও মায়ানমারে রয়ে গেছে। জাতিসংঘ দেশটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, মায়ানমার অনেকগুলো রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশরা চেয়েছিল একসঙ্গে শাসন করতে। সেজন্যই অনেককে এক করে বার্মা রাষ্ট্র গঠন করা হয়। তিনি বলেন, তবে এখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত নয়তো আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত।

এ সময় চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালানো প্রসঙ্গে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সবসময়ই আলোচনা ও আইনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আমাদের চীনকে বলা উচিত যে তারা আপনাদের নাগরিক। ধর্ম আলাদা হওয়ার কারণে আচরণ আলাদা করবেন না। মাহাথির বলেন, যখন আপনি সহিংসতার আশ্রয় নেবেন, তখন সবকিছু অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ সহিংসতার মাধ্যমে কোনও কিছু অর্জনের নজির অনেক কম।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা নিজস্ব রাষ্ট্র দেয়া উচিত

মাহাথির মোহাম্মদ

সংবাদ ডেস্ক

image

মাহাথির মোহাম্মদ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কিংবা আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত মায়ানমারের। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না তবে মায়ানমারে এ গণহত্যায় তারা চুপও থাকতে পারেন না।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর দেশটির সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে চার লাখেরও বেশি মানুষ এখনও মায়ানমারে রয়ে গেছে। জাতিসংঘ দেশটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, মায়ানমার অনেকগুলো রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশরা চেয়েছিল একসঙ্গে শাসন করতে। সেজন্যই অনেককে এক করে বার্মা রাষ্ট্র গঠন করা হয়। তিনি বলেন, তবে এখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত নয়তো আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত।

এ সময় চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালানো প্রসঙ্গে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সবসময়ই আলোচনা ও আইনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আমাদের চীনকে বলা উচিত যে তারা আপনাদের নাগরিক। ধর্ম আলাদা হওয়ার কারণে আচরণ আলাদা করবেন না। মাহাথির বলেন, যখন আপনি সহিংসতার আশ্রয় নেবেন, তখন সবকিছু অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ সহিংসতার মাধ্যমে কোনও কিছু অর্জনের নজির অনেক কম।