রূপগঞ্জে অগ্নিসংযোগে গুদাম পুড়ে ছাই

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুস্কৃতিকারীর দেয়া ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৩ গোডাউনের ওয়াজটিজ পুড়ে ছাই। প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেনের। বুধবার ভোর ৪টার দিকে তারাব বিশ্বরোড এলাকায় ইকবাল হোসেনের ওয়াজটিজের গোডাউনে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।

গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ করে ওয়াজটিজের গোডাউনে আগুন জ্বলতে দেখতে পায়। মুহূর্তেও মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। পরে ডেমরা সারুলিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতক্ষণে গোডাউনে থাকা সুতা, জিনসের কাপড়, পলি, পিচ, কাটন, প্লাস্টিকের ড্রাম আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এককোটি টাকার মতো হয়েছে বলে দাবি করেন গোডাউন মালিক ইকবাল হোসেন। পিচের ড্রামগুলো বিকট শব্দে ফুটে গেলে এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় লোকজন এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, দুস্কৃতিকারীরা আমার সঙ্গে শত্রুতা করে গোডাউনে আগুন দিয়েছে। গোডাউনে থাকা প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মান্নান বলেন, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে গোডাউনে থাকা অনেক মালামাল আমাদের খবর দেয়ার আগেই পুড়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তা না হলে আরও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভবনা ছিল।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

রূপগঞ্জে অগ্নিসংযোগে গুদাম পুড়ে ছাই

প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুস্কৃতিকারীর দেয়া ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৩ গোডাউনের ওয়াজটিজ পুড়ে ছাই। প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেনের। বুধবার ভোর ৪টার দিকে তারাব বিশ্বরোড এলাকায় ইকবাল হোসেনের ওয়াজটিজের গোডাউনে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।

গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ করে ওয়াজটিজের গোডাউনে আগুন জ্বলতে দেখতে পায়। মুহূর্তেও মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। পরে ডেমরা সারুলিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতক্ষণে গোডাউনে থাকা সুতা, জিনসের কাপড়, পলি, পিচ, কাটন, প্লাস্টিকের ড্রাম আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এককোটি টাকার মতো হয়েছে বলে দাবি করেন গোডাউন মালিক ইকবাল হোসেন। পিচের ড্রামগুলো বিকট শব্দে ফুটে গেলে এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় লোকজন এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। গোডাউনের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, দুস্কৃতিকারীরা আমার সঙ্গে শত্রুতা করে গোডাউনে আগুন দিয়েছে। গোডাউনে থাকা প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মান্নান বলেন, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে গোডাউনে থাকা অনেক মালামাল আমাদের খবর দেয়ার আগেই পুড়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তা না হলে আরও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভবনা ছিল।