চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীর ভাঙনে গত ১ বছরে ১৩০পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভিটে-মাটি হারানো পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীটির দু’পাড়ের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করে। প্রতি বছর নদী পাড়ের মানুষগুলোর সহায় সম্বল ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে শত শত পরিবারকে করছে নিঃস্ব। গত বর্ষায় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খিরাম ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট, মগকাটা, চৌমহনী এলাকার সর্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সরেজমিনে সর্তার ভাঙনকবলিত এলাকায় গেলে দেখা যায়, খিরাম ইউনিয়নের প্রায় ৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা ভাঙন ঝ্ুঁকিতে রয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে এমনও পরিবার আছে যাদের একমাত্র ভিটে মাটিটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। হত দরিদ্র এ মানুষগুলো কেউ বর্গা নিয়ে অন্যের জমিতে চাষ করে, কেউ বা দিন মজুরিতে জীবন করে। এদের অধিকাংশের এমন কোন সামর্থ্য নেই যে, ভাঙনকবলিত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসত গড়বে।
স্থানীয় আলতাফ হোসেন জানান, যাদের সামর্থ্য আছে তারা না হয় অন্যত্র চলে যেতে পারছে। কিন্তু আমরা যাবো কোথায়? আমাদের তো পৈত্রিক এই ভিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। সরকারের কাছে এলাকার মানুষের দাবি সর্তার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে তাদের দুর্দশা লাগব করে।
খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সৌরভ বলেন, সর্তা পাড়ের ভাঙনকবলিত মানুষগুলো হতদরিদ্র। প্রায় নিম্ন আয়ের মানুষ। ইতোমধ্যে ১৪৩টি পরিবার সর্তার ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। আরও বহু পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমাদের এমপির নির্দেশনা মতে দ্রুত যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই সর্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২০ , ২১ পৌষ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
এম নাছির উদ্দিন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীর ভাঙনে গত ১ বছরে ১৩০পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভিটে-মাটি হারানো পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীটির দু’পাড়ের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করে। প্রতি বছর নদী পাড়ের মানুষগুলোর সহায় সম্বল ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে শত শত পরিবারকে করছে নিঃস্ব। গত বর্ষায় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খিরাম ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট, মগকাটা, চৌমহনী এলাকার সর্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সরেজমিনে সর্তার ভাঙনকবলিত এলাকায় গেলে দেখা যায়, খিরাম ইউনিয়নের প্রায় ৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা ভাঙন ঝ্ুঁকিতে রয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে এমনও পরিবার আছে যাদের একমাত্র ভিটে মাটিটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। হত দরিদ্র এ মানুষগুলো কেউ বর্গা নিয়ে অন্যের জমিতে চাষ করে, কেউ বা দিন মজুরিতে জীবন করে। এদের অধিকাংশের এমন কোন সামর্থ্য নেই যে, ভাঙনকবলিত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসত গড়বে।
স্থানীয় আলতাফ হোসেন জানান, যাদের সামর্থ্য আছে তারা না হয় অন্যত্র চলে যেতে পারছে। কিন্তু আমরা যাবো কোথায়? আমাদের তো পৈত্রিক এই ভিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। সরকারের কাছে এলাকার মানুষের দাবি সর্তার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে তাদের দুর্দশা লাগব করে।
খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সৌরভ বলেন, সর্তা পাড়ের ভাঙনকবলিত মানুষগুলো হতদরিদ্র। প্রায় নিম্ন আয়ের মানুষ। ইতোমধ্যে ১৪৩টি পরিবার সর্তার ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। আরও বহু পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমাদের এমপির নির্দেশনা মতে দ্রুত যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই সর্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।